BJP: রাজ্য নেতাদের ছবিতে জুতো, লাথি! তুমুল বিক্ষোভ এবার বিজেপির সদর দফতরে...
রাজ্য নেতৃত্বকে অমিতাভ চক্রবর্তী, অমিত মালব্যদের সরানোর জন্য় ৬ দিন সময় দিলেন বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীরা। 'আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম, পুজোর সময়ে সেল চলছে, জুতোর বিজ্ঞাপন! তারপর দেখলাম সুকান্তের মুখে পড়ছে', কটাক্ষ কুণালের।
মৌমিতা চক্রবর্তী: বঙ্গে ফের বিজেপি বনাম বিজেপি। নেতাদের ছবিতে জুতো, লাথি! রাজ্য নেতৃত্বকে অমিতাভ চক্রবর্তী, অমিত মালব্যদের সরানোর জন্য় ৬ দিন সময় দিলেন বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীরা। ধুন্ধুমারকাণ্ড মুরলীধর সেন লেনে।
আরও পড়ুন: Amit Shah: কলকাতায় পুজো উদ্বোধনে আসছেন অমিত শাহ!
সল্টলেকের পর এবার মধ্য কলকাতার মুরলীধর সেন লেন। রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এবার বিজেপির সদর দফতরে বিক্ষোভ দেখালেন দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ। বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই দলের আদি সদস্য হিসেবে পরিচিত।
এদিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজ্য বিজেপি সদর দফতরে হাজির হন 'বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ'-র সদস্যরা। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী ও কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষণ অমিত মালব্যের ছবি নিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। স্রেফ নেতাদের ছবিতে জুতো- লাথি নয়, কুশপুতুলও দাহ করেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষুদ্ধ বিজেপি নেতা সামসুর রহমান বলেন, 'আমরা ৬ দিনের সময়সীমা দিচ্ছি। ৬ দিনের মধ্যে এই অমিতাভ চক্রবর্তী, অমিত মালব্য যদি এখান থেকে পাততাড়ি গোটায়, রাজ্য অফিসে তালা দেব, দখল নেব'। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'এটা ট্রেলার হল। জনস্রোত আসবে এখানে! ম্যারাপ বেঁধে বসে থাকব, সমান্তরাল সংগঠন চালাব'।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর ক্ষোভ বাড়ছিল পদ্মশিবিরে। দলের সাংগঠনিক রদবদলের পর সেই ক্ষোভে এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। রাজ্য় নেতৃত্বের এই রদবদলে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির বিক্ষুদ্ধ কর্মীরা। গতকাল, বুধবার সল্টলেকে জেলা কার্যালয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ভেঙে দেওয়া হয় পার্টি অফিসের তালা।
রাজ্য় বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'আমাদের মতো দলে এটা অস্বস্তিকর, অনভিপ্রেত, যাঁরা প্রতিবাদ জানাতে এসেছেন, তাদের বোঝা উচিত, পার্টি কর্মীদের প্রতিবাদে ভাষার স্বরূপ এটা নয়। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতে পারে। সাধারণ সম্পাদক সংগঠন একটা ভিন্ন মর্যাদার পদ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে, দেখা করে বলুন। লিখিত জানান। প্রয়োজনে দিল্লিকে জানান। কিন্তু কারও ছবিতে আগুন দেওয়া, পার্টি পতাকা নিয়ে পার্টি সভাপতির ছবিতে জুতো ছোঁড়া, এটা কি কোনও সুস্থ রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ হতে পারে! পার্টি দেখছে, পার্টি নজরদারি আছে, পার্টি যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাই হবে'।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, 'আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম, পুজোর সময়ে সেল চলছে, জুতোর বিজ্ঞাপন! তারপর দেখলাম সুকান্তের মুখে পড়ছে। এটা তো খারাপ জিনিস, ঠিক না। সুকান্তের মুখে জুতো মারবে কেন, নিশ্চয়ই বিজেপি দলের ঝগড়া। সুকান্ত বাবু থাকুন। কিন্তু জুতোর বিজ্ঞাপন করে ছেড়ে দিয়েছে। সুকান্তবাবু জুতোর মডেল'।
আরও পড়ুন: Jadavpur University: যাদবপুরে 'সত্যাগ্রহ' প্রত্যাহার অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)