রাহুল-রুপায় মন কষাকষি, রুপার তৎপরতায় খুশি নয় রাজ্য বিজেপি
প্রকাশ্যে রাহুল সিনহা রূপা গাঙ্গুলির বিরোধ। চব্বিশ ঘণ্টাকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানিয়ে দিলেন, দলের অনুমতি ছাড়াই বৃহস্পতিবার হাবড়া গিয়েছিলেন রূপা! আর এতেই বেজায় চটেছেন রূপা গাঙ্গুলি। নালিশ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের। রূপার হুঁশিয়ারি, বিহিত না হলে দলই ছেড়ে দেবেন তিনি।
ওয়েব ডেস্ক: প্রকাশ্যে রাহুল সিনহা রূপা গাঙ্গুলির বিরোধ। চব্বিশ ঘণ্টাকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানিয়ে দিলেন, দলের অনুমতি ছাড়াই বৃহস্পতিবার হাবড়া গিয়েছিলেন রূপা! আর এতেই বেজায় চটেছেন রূপা গাঙ্গুলি। নালিশ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের। রূপার হুঁশিয়ারি, বিহিত না হলে দলই ছেড়ে দেবেন তিনি।
চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড় দূরস্থান। চ্যালেঞ্জার কে হবেন তাই নিয়ে দড়ি টানাটানি। ২০১৬ কাউন্টডাউন যত ছোট হচ্ছে ততই বাড়ছে টানাপোড়েন। বিজেপিতে লেট এন্ট্রি রূপা গাঙ্গুলির। সরাসরি কেন্দ্রের রিক্রুট। রাজ্যে এসেই ব্যাট করছেন টি-টুয়েন্টি মেজাজে। পাড়ুই থেকে পাঁশকুড়া। হাওড়া থেকে হাবড়া। সংঘর্ষ, নির্যাতন থেকে দুর্যোগ। খবর পেলেই ছুটে যাচ্ছেন। মেঠো বক্তৃতা, টোটোয় চড়া, বৃষ্টিতে কাকভেজা। সংবাদমাধ্যমের ফোকাসে অভিনেত্রী। দলের নীচুতলার কর্মীদের সমর্থন তাঁকে ঘিরে। এমনকি, শাসক দলের নিশানাতেও তিনি।স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে নেই রাজ্য নেতৃত্ব।
এই অস্বস্তিই এবার ক্ষোভ হয়ে ঝরে পড়ল রাজ্য সভাপতির গলায়। রাজ্য নেতৃত্বকে না জানিয়ে, হাবড়ায় গিয়ে ঠিক করেননি রূপা। সাফ জানালেন রাহুল সিনহা।
ঝড়ে বিধ্বস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে জুটেছে শাসক দলের হেনস্থা। এরপরেও পাশে না দাঁড়িয়ে তোপ দাগছেন দলের রাজ্য সভাপতি। এতে বেজায় চটেছেন রূপা গাঙ্গুলি। সরাসরি নালিশ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে।
তবে রাজ্য বিজেপিতে এমনটা নতুন নয়। কয়েক মাস আগে বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়েও এমনই অস্বস্তিতে ছিল রাজ্য নেতৃত্ব। সেবার বাবুলের ঝালমুড়ি রাজনীতি অস্ত্র তুলে দেয় রাজ্যের নেতাদের হাতে। রাজ্যের প্রচ্ছন্ন সমর্থনে তখন বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন রূপাই। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও সতর্ক করে বাবুলকে। আসানসোলের লক্ষ্মণরেখায় বেঁধে দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু, রূপার ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা।
পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি দাঁড়ানোর উপযুক্ত মনে করা হচ্ছে রূপা গাঙ্গুলিকে। তাঁর ওপর বাজি ধরছে সংঘ নেতৃত্বও। রূপার দল ছাড়ার হুঁশিয়ারিকে তাই হাল্কা নেয়নি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তড়িঘড়ি সিদ্ধার্থনাথ সিং কথা বলেছেন রূপার সঙ্গে।