TMC থেকে আসা নেতার জন্য সরতে হল, ৪০ বছর BJP করার পুরস্কার: রাহুল সিনহা
১০-১২ দিন পর ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ ঘোষণা করবেন রাহুল সিনহা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির অন্দরে শুরু হল মুষলপর্ব? রদবদলে জাতীয় সম্পাদকের পদ খোয়ালেন রাহুল সিনহা। গতবছরই তৃণমূল থেকে এসেছিলেন অনুপম হাজরা। তিনি হয়ে গেলেন জাতীয় সম্পাদক। মুকুল রায় হলে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। স্বাভাবিকভাবেই দলের সিদ্ধান্তে না-খুশ রাহুল সিনহা। তাঁর ক্ষোভ, দীর্ঘ ৪০ বছর বিজেপির একনিষ্ঠ সৈনিক হওয়ার কি এটাই পুরস্কার?
এদিন রাহুল সিনহা বলেন,''৪০ বছর ধরে বিজেপির সেবা করেছি। সৈনিক থেকেছি। জন্মলগ্ন থেকে বিজেপির সেবা করার পুরস্কার, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আসছেন, তাই আমাকে সরতে হবে। এর চেয়ে বড় দুর্ভাগ্য আর কিছু হতে পারে না!'' এবার তাহলে কী করবেন? ভবিষ্যতে কী সিদ্ধান্ত নেবেন? রাহুলবাবুর কথায়,''পার্টি যে পুরস্কার দিল, তার পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলতে চাই না। যা বলার ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে বলব। আমার ভবিষ্যত কর্মপন্থা ঠিক করব।''
১০-১২ দিন পর ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ ঘোষণা করবেন রাহুল সিনহা। রাজনীতির অভিধানে এমন '১০-১২ দিন'কে বলা হয়- সময়ক্রয়। এর মধ্যে দলের উপরে চাপ বাড়াবেন রাহুল সিনহা। সেই চেষ্টা সফল না হলে ভিন্ন ভাবনায় হাঁটতে পারেন। সেই ভিন্ন ভাবনা কী? রাজনৈতিক মহলের মতে, যেভাবে দলবদলের খেলা চলছে, তাতে তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিজেপি এমতাবস্থায় কী করতে পারে? বিশেষ করে একুশের নির্বাচনের আগে দলের অভিজ্ঞ ও পুরনো নেতা বেরিয়ে গেলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে জনমানসে। সূত্রের খবর, রাহুল সিনহাকে রাজ্যপাল করে আপাতত শান্ত করতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে সবটাই জল্পনা। এটা বলাই বাহুল্য, একুশের কঠিন লড়াইয়ের আগে কখনও দিলীপ বনাম মুকুল, কখনও তথাগত রায়, আবার এখন রাহুল সিনহা- নেতাদের ইগোর সংঘাতে জেরবার রাজ্য বিজেপি।
আরও পড়ুন- একুশ যেন এগারো; কৃষি ও কৃষকই ঠিক করবে, পালাবদল না 'মমতাদি আর এক বার'?