উত্তরবঙ্গে বর্ষা, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস
দিনভর তীব্র দাবদাহের পরে বৃষ্টি নামল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। বুধবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
দিনভর তীব্র দাবদাহের পরে বৃষ্টি নামল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। বুধবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা সামান্য হলেও কমবে বলে জানানো হয়েছে। তবে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার জন্য অস্বস্তি থাকবে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহ চলবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বর্ধমানেও চলবে তাপপ্রবাহ।
মঙ্গলবারই কেরালায় শুরু হয়েছে বর্ষার বৃষ্টি। স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী কেরালায় বর্ষা আসার ৮ দিনের মধ্যে এ রাজ্যে বর্ষা আসার কথা। তবে এবছর মৌসুমি বায়ুর গতি অত্যন্ত শ্লথ হওয়ায় বর্ষা আসতে আরও বেশ কিছুদিন দেরি হতে পারে বলে এদিন জানিয়েছে আবহওয়া দফতর। সেক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহের আগে অসহ্য দহন থেকে মুক্তি পাবেন না রাজ্যবাসী।
বিকেলের হাল্কা বৃষ্টি স্বস্তি দিতে পারল না কলকাতাবাসীকে। যদিও দিনভর তীব্র দাবদাহে নাজেহাল হয়েছে কলকাতাবাসী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাই ফাঁকা হয়ে গিয়েছে শহর কলকাতার পথঘাট। ছাতা, রোদচশমা, এমনকী মুখে রুমাল বেঁধেও গরমকে বাগ মানানো যাচ্ছে না। প্রচণ্ড রোদ আর আপেক্ষিক আর্দ্রতার দরুণ কাহিল মানুষ গাছের ছায়ায় স্বস্তির খোঁজ করছেন। কোথাও বা ঠান্ডা পানীয়ে গলা ভিজিয়ে চেষ্টা করছেন শরীর শীতল করার।
যদিও উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মৌসুমী বায়ুর একটি শাখা মায়ানমার হয়ে উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের প্রধান জিসি দেবনাথ। এর ফলে আগামী দিনে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর জেলায় ভারি বৃষ্টি শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওদিকে গরমে ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। বুধবারই মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের।