এক পশলা বৃষ্টিতেই পুকুর কলকাতা, কী ভাবছে পুরসভা?
এবারও কি বর্ষায় ভাসবে কলকাতা? জমা জলের হাত থেকে শহরবাসীকে বাঁচাতে কতটা প্রস্তুত কলকাতা পুরসভা? কেমন হাল নিকাশি ব্যবস্থা, পাম্পিং স্টেশন এবং খালের নাব্যতা ও নিকাশি নালাগুলির? চব্বিশ ঘণ্টার বিশেষ রিপোর্ট।
এবারও কি বর্ষায় ভাসবে কলকাতা? জমা জলের হাত থেকে শহরবাসীকে বাঁচাতে কতটা প্রস্তুত কলকাতা পুরসভা? কেমন হাল নিকাশি ব্যবস্থা, পাম্পিং স্টেশন এবং খালের নাব্যতা ও নিকাশি নালাগুলির? চব্বিশ ঘণ্টার বিশেষ রিপোর্ট।
বুধবারের এক পশলা বৃষ্টিতেই এই হাঁটু জল উত্তর কলকাতার বেশ কিছু এলাকায়। নিকাশির দায়িত্ব এখন নিজের হাতেই তুলে নিয়েছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। কতটা প্রস্তুত পাম্পিং স্টেশনগুলি। দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকার বর্ষার জল যায় বালিগঞ্জ পাম্পিং স্টেশনে। মধ্য কলকাতার জল জমা হয় পামারবাজার পাম্পিং স্টেশনে। পূর্ব কলকাতার বিভিন্ন নিকাশি নালার জল জমা হয় ধাপা লক পাম্পিং স্টেশনে। আর উত্তর কলকাতার জল জমা হয় বীরপাড়া পাম্পিং স্টেশনে।
বালিগঞ্জ পাম্পিং স্টেশনে পাম্পের সংখ্যা ১১। সবগুলিই একসঙ্গে কাজ করতে পারে। পামারবাজারে রয়েছে তেরোটি পাম্প। কাজ করতে পারে দশটি পাম্প। ধাপা লক পাম্পিং স্টেশনে নটি পাম্পের মধ্যে কাজ করতে পারে সাতটি। আর বীরপাড়ায় সাতটির মধ্যে কাজ করতে পারে পাচটি পাম্প। এছাড়া যাদবপুর ও বেহালার মত সংযুক্ত এলাকায় অস্থায়ী পাম্পের সাহায্যে জল সরাসরি খালে ফেলা হয়।
ফলে বেশি বৃষ্টি হলে পাম্পগুলি আর সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে বসে যায়। উপরন্তু কেএমডিএ ও কেইআইপির পাম্পগুলির দায়িত্বও পুরসভা নিয়েছে। কিন্তু এতগুলি পাম্প দেখভালের পরিকাঠামো আদৌ পুরসভার আছে কি না, তানিয়ে প্রশ্ন উঠছে পুরসভার অন্দরেই। সারাবছর পড়ে থাকলেও বর্ষার মুখে এসে বৈঠকে বসে পুর প্রশাসন। যার ফলে অনেক ত্রুটি চোখে পড়লেও ভরা বর্ষায় তা সামাল দিতে নাজেহাল হয়ে পড়ে পুরসভা।