`মমতা`ময় প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ
মুখ্যমন্ত্রীময় প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান। দফতরকে ছাপিয়ে প্রায় সব ট্যাবলোতেই মুখ্যমন্ত্রীর কাটআউট। উঠল প্রজাতন্ত্রদিবসের মঞ্চকেও রাজনৈতিক প্রচারের কাজে ব্যবহারের অভিযোগ।
মুখ্যমন্ত্রীময় প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান। দফতরকে ছাপিয়ে প্রায় সব ট্যাবলোতেই মুখ্যমন্ত্রীর কাটআউট। উঠল প্রজাতন্ত্রদিবসের মঞ্চকেও রাজনৈতিক প্রচারের কাজে ব্যবহারের অভিযোগ।
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ প্রশাসনিক অনুষ্ঠান। রাজ্য সরকারের পুলিসবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সামরিক বাহিনী নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করে। যার অন্যতম অঙ্গ কুচকাওয়াজ ও ট্যাবলো প্রদর্শন। ট্যাবলো আসলে প্রতীকি একটি উপস্থাপনা। যা কুচকাওয়াজ দেখতে আসা মানুষকে কোনও একটি দফতর বা সংস্থার বিষয় একটা সুস্পষ্ট তথ্য দেয়। ৬৪ তম প্রজাতন্ত্র দিসবে কলকাতার ইন্দিরা গান্ধী সরনী দেখল এক অন্য ছবি। রাজ্য সরকারের প্রদর্শিত ৮টি ট্যাবলোর মধ্যে ৬টিতেই বিরাজমান মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা পুলিস। রাজ্য পুলিস। দমকল দফতরের অধীনে থাকা বিপর্যয় মোকাবিলা। শিল্প ও বাণিজ্য। বিদ্যুৎ এবং অচিরাচরিত শক্তি। এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান দফতরের ট্যাবলোর আগে পিছে, দু-পাশে মুখ্যমন্ত্রীর পূর্নাবয়ব বা প্রমাণ সাইজের ছবিতে যতটা প্রচার ছিল, ততটা তথ্য বা বার্তা ছিল না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষত রাজ্য সরকার যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি, সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চকে এভাবে ব্যবহার করা অত্যন্ত দৃষ্টিকটূ বলেও মনে করছেন অনেকে।
মূলত ২৬শে জানুয়ারির কুচকাওয়াজে তিনি নিজে দাঁড়িয়ে অভিবাদন নিতে পারেন না বলেই, গত বছর থেকে ১৫ই অগাস্ট রেড রোডে শুরু হয়েছে কুচকাওয়াজ। প্রটোকল অনুযায়ী ২৬শে জানুয়ারির কুচকাওয়াজে অভিবাদন নেন রাজ্যপাল। সেই মঞ্চকে তাহলে কি এবার অন্য কৌশলে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।