ইএসআই হাসপাতালে রীতিমতো ধুঁকছে উদ্ধার হওয়া দশ শিশুকন্যা
এরাও কোনও মায়েরই সন্তান। কারোর আদরের ধন। তবে পাচারকারীদের হাতে এই সব শিশুরা নেহাতই ব্যবসার পণ্য। তাদের ভাষায় মাল। আলু পটলের সঙ্গে কোনও তফাত্ নেই সদ্য পৃথিবীর আলো দেখা এই নব জাতকদের। পূর্বাশা হোম থেকে উদ্ধার হওয়া দশ শিশুর হাল স্পষ্ট করেছে সেই কথাটাই।
ওয়েব ডেস্ক: এরাও কোনও মায়েরই সন্তান। কারোর আদরের ধন। তবে পাচারকারীদের হাতে এই সব শিশুরা নেহাতই ব্যবসার পণ্য। তাদের ভাষায় মাল। আলু পটলের সঙ্গে কোনও তফাত্ নেই সদ্য পৃথিবীর আলো দেখা এই নব জাতকদের। পূর্বাশা হোম থেকে উদ্ধার হওয়া দশ শিশুর হাল স্পষ্ট করেছে সেই কথাটাই।
হোম মালিক রিনা ব্যানার্জির স্বীকারোক্তি আরও ভয়ানক। পুরোটাই ব্যবসা। শিশুর দর ঠিক হত, ফর্সা কালো, ছেলে-মেয়ে এই সব বিচার করে। CID জেরায় এমনটাই জানিয়েছে পূর্বাশা হোমের মালিক রিনা ব্যানার্জি। সেই কারণে উদ্ধার হওয়া ১০ শিশুকে বেচতে পারেনি তারা। রিনার দাবি, মেয়ে বলে ওই ১০ শিশু কন্যার খদ্দের মেলেনি।
আরও পড়ুন নির্বিঘ্নে শেষ হল SSC-র নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা
ছেলে বাচ্চার দাম হত দুই থেকে আড়াই লাখের মধ্যে। সত্তর থেকে এক লাখের মধ্যে দাম উঠত মেয়ে বাচ্চার। খদ্দের না মেলায় বেশ কিছু শিশুকন্যাকে ১০ মাসেরও বেশি সময় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল হোমে। ছেলের চাহিদা বেশি বলে তাদের দেখভালও করা হত ভাল করে। চাহিদা নেই, দামও মেলে না। ফলে মেয়েদের যত্ন হত নাম মাত্র।
জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে শুধু পূর্বাশার গোডাউন থেকেই কুড়িটি শিশুপুত্রকে বেচেছে তারা। আর খদ্দের মেলেনি বলে, নোংরা অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় ফেলে রাখা হত শিশু কন্যাদের। যার নিট ফল ইএসআই হাসপাতালে রীতিমতো ধুঁকছে উদ্ধার হওয়া দশ জন। উদ্ধার হওয়া ১০ শিশুর মধ্যে একজন সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত। একজন থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত বলে খবর। এই ২শিশুর শারীরিক অবস্থা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন চিকিত্সকরা।
আরও পড়ুন শিখে নিন কীভাবে বাড়িতে সহজে বানাবেন ‘ব্ল্যাক ফরেস্ট কেক’