আতঙ্কের রেলযাত্রা
কাশ্মীর যাওয়ার পথে ট্রেনের মধ্যেই সর্বস্ব খোয়ালেন রাজা মণীন্দ্র চন্দ্র কলেজের অধ্যাপিকা সুরঞ্জনা সান্যাল। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে চলন্ত ট্রেনে তাঁর হাত থেকে ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে নেমে যায় এক যুবক। ট্রেনের কামরায় ছিল না একজনও নিরাপত্তা রক্ষীও। জম্মু স্টেশনে জিআরপি জানিয়ে দেয় হাওড়াতে অভিযোগ জানাতে হবে।
কাশ্মীর যাওয়ার পথে ট্রেনের মধ্যেই সর্বস্ব খোয়ালেন রাজা মণীন্দ্র চন্দ্র কলেজের অধ্যাপিকা সুরঞ্জনা সান্যাল। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে চলন্ত ট্রেনে তাঁর হাত থেকে ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে নেমে যায় এক যুবক। ট্রেনের কামরায় ছিল না একজনও নিরাপত্তা রক্ষীও। জম্মু স্টেশনে জিআরপি জানিয়ে দেয় হাওড়াতে অভিযোগ জানাতে হবে। ফিরে এসে হাওড়া জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে তাঁকে চূড়ান্ত হেনস্থার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই অধ্যাপিকা।
রাত তখন চারটে। এস ২ কামরা। ট্রেনের চারটে দরজাই খোলা। বাইরের লোক অনবরত রিজার্ভ কামরায় উঠছে ও নামছে। বারণ করার কেউ নেই। নিজের বাঙ্কেই শুয়ে ছিলেন সুরঞ্জানাদেবী। হঠাত্ই এক যুবক এসে জোর করে ব্যাগটা কেড়ে নিয়ে যায় তাঁর। অনেকক্ষণ চিত্কার চেঁচামেচি পর তিনজন নিরাপত্তা কর্মীর শেষ পর্যন্ত দেখা মেলে। কিন্তু তাঁরা কোনও সাহায্য করেনি বলে ওনার অভিযোগ। না এখানেই শেষ না। অভিযোগ জানাতে গিয়ে হাওড়া জিআরপিতে এসেও চূড়ান্ত হয়রানির মুখে পড়তে হয় অধ্যাপিকাকে। আতঙ্কিত অধ্যাপিকার প্রশ্ন কোথায় রেলের নিরাপত্তা।
সামনেই পুজো। লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ চেপে বসবেন দুরপাল্লার ট্রেনে। কিন্তু নিরাপত্তা? পুলিশের ভূমিকা? কেন ডাইরি নিল না জিআরপি? দিনভোর রেল কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেও এর উত্তর মেলেনি।