রাজ্যে বাড়ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রভাব
রাজ্যে বাড়ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রভাব। গত পাঁচ বছরে রাজ্যে প্রায় তিনগুণ বেড়েছে RSS-এর শাখার সংখ্যা। বেড়েছে RSS পরিচালিত স্কুলও। কেশব ভবনের নেতাদের কথায়, গত পাঁচ বছর এরাজ্যে তাদের জন্য গোল্ডেন পিরিয়ড। একটা সময় ছিল যখন এ রাজ্যে RSS-কে খুঁজতে দরকার হত দূরবীনের। তবে সে দিন এখন অতীত। সংঘ নেতারা দাবি করছেন, এতদিন যা হয়নি, গত কয়েক বছরে সেটাই হয়েছে। রাজ্যে একটু একটু করে সাফল্যের মুখ দেখছেন তাঁরা।
ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যে বাড়ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রভাব। গত পাঁচ বছরে রাজ্যে প্রায় তিনগুণ বেড়েছে RSS-এর শাখার সংখ্যা। বেড়েছে RSS পরিচালিত স্কুলও। কেশব ভবনের নেতাদের কথায়, গত পাঁচ বছর এরাজ্যে তাদের জন্য গোল্ডেন পিরিয়ড। একটা সময় ছিল যখন এ রাজ্যে RSS-কে খুঁজতে দরকার হত দূরবীনের। তবে সে দিন এখন অতীত। সংঘ নেতারা দাবি করছেন, এতদিন যা হয়নি, গত কয়েক বছরে সেটাই হয়েছে। রাজ্যে একটু একটু করে সাফল্যের মুখ দেখছেন তাঁরা।
২০১৪ থেকে কেন্দ্রে ক্ষমতায় BJP। তবে, RSS নেতাদের দাবি ২০১১ থেকেই এ রাজ্যে একটু একটু করে বাড়ছে গেরুয়া প্রভাব। RSS-এর পরিসংখ্যান বলছে গত পাঁচ বছরে এ রাজ্যে তিনগুণ বেড়েছে তাদের শাখার সংখ্যা।
আরও পড়ুন- ''ধর্ম নয়, তোষণ নয়, সবার জন্য উন্নয়নই প্রধান লক্ষ্য''
২০১১-য় রাজ্যে RSS-এর ৫৮০টি শাখা ছিল
২০১৪-এ তা বেড়ে হয় ১২৪০টি
গত ডিসেম্বরে এই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১৪৯২
এর মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে শাখার সংখ্যা ১০৬৭টি, উত্তরবঙ্গে ৪২৬টি
২০১৫-১৬-র মধ্যে নতুন ২৭৫টি শাখা তৈরি হয়েছে রাজ্যে
রাজ্যে বাড়ছে RSS-এর স্কুল। শুধু সংগঠনের শাখা-প্রশাখাই নয়। গত কয়েক বছরে রাজ্য জুড়ে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে RSS পরিচালিত স্কুলের সংখ্যা। RSS-এর পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে RSS পরিচালিত প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা ৩০৯টি। এতে ৩১৯৩ জন শিক্ষকতা করেন। এর মধ্যে ১৫৩৭জন পুরুষ শিক্ষক। RSS পরিচালিত স্কুলগুলিতে ৬৬ হাজার ৯০ জন পড়ুয়া রয়েছে। এদের মধ্যে ২৩ হাজার ৬৭জন ছাত্রী। RSS পরিচালিত ১৬টি স্কুলে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়ানো হয়। এর মধ্যে ১৫টি স্কুল অনুমোদন পেয়েছে গত ৫ বছরে। দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা, সুন্দরবন, মালদা, কোচবিহার, নদিয়ার এই স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে RSS-ও। রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা অবশ্য RSS-এর এই বহর বৃদ্ধির ক্রেডিট তৃণমূলকেই দিচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট মোদীভাই-দিদিভাইয়ের আঁতাঁত।