বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে ইস্তফা সব্যসাচী দত্তের

তিনি জানান, তাঁর পদত্যাগপত্র চেয়ারপার্সনকে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

Updated By: Jul 18, 2019, 04:42 PM IST
বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে ইস্তফা সব্যসাচী দত্তের

নিজস্ব প্রতিবেদন: সব জটিলতার অবসান। বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সব্যসাচী দত্ত। বেলা চারটের সময়ে সাংবাদিক বৈঠক করে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন তিনি। তবে কাউন্সিলর পদ থেকে এখনই ইস্তফা দিচ্ছেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। তাঁর যুক্তি, জনমতের সমর্থনে তিনি কাউন্সিলর হয়েছেন, তাই এখনই এই পদ থেকে ইস্তফা নয়। পুরসভার চেয়ারপার্সন, কমিশনার ও ৩৯ জন কাউন্সিলরকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন বলে এদিন জানান সব্যসাচী দত্ত।

 

এদিন বৈঠেক তিনি বলেন, “ সরকারি কর্মী ইউনিয়নের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলাম। বিদ্যুত্ভবনে বিক্ষোভের জেরে জটিলতা হয়। তারপরেই  একটি চিঠি পাই। আমার মনে হয় চিঠি আইনসঙ্গত নয়, তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই। হাইকোর্ট আমাদের আর্জিকে মান্যতা দেয়। আদালতে আমার নৈতিক জয় হয়।” তাঁর দাবি, বিদ্যুত্ভবনের কর্মী ইউনিয়নের বিক্ষোভে যোগ দিয়ে মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই তাঁকে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। 

তিনি দাবি করেন, “আমি একের পর এক বেআইনি কাজ দেখেছি। আমি মুখ্যমন্ত্রী, পুলিস প্রশাসনকে জানিয়েছি।  কিছু বেআইনি কাজেবাধা দিই, পুর আধিকারিকদের সাহায্য পেয়েছিলাম।  সব থেকে আশ্চর্য, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারের এত সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। জলা ভরাট করা হচ্ছিল। বেআইনি কাজে বাধা দিই। একটি পিটিশনও দাখিল করি। রাজ্য সরকারকে নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ জানাই। কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি।" তিনি জানান, অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করে কাজ করা যায় না। কাজ করতে না পারলে পদে থাকা উচিত নয়। তাই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত। তাঁর কথায়, "কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের কাজে বাধা দিয়েছিলাম। আপোস করে কাজ করা যায় না। "

 তাঁর পদত্যাগপত্র চেয়ারপার্সনকে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।  তবে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে এখনই খোলসা করে বলেননি কিছু। বিজেপির কোনও নেতার সঙ্গেও এবিষয়ে তাঁর কথা হয়নি বলে জানিয়ে দেন।  ইতিমধ্যেই কমিশনারকে ডেকে তিনি পুরসভার গাড়ি ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। সমস্ত নিয়ম মেনেই এদিন ইস্তফা দেন সব্যসাচী দত্ত। 

বিধাননগরের মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন ৩৫ জন কাউন্সিলর। অনাস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন সব্যসাচী। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের রায়ে, কিছুটা স্বস্তিও পান তিনি। আইনি লড়াইয়ের মধ্যেই তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত। 

 

 

.