Sangrami Joutha Mancha: তহবিল নয়ছয়ের অভিযোগ যৌথ মঞ্চের বিরুদ্ধে, আগাম জামিন ৭ নেতার
অভিযোগকারী দেবপ্রসাদ হালদার। ইউনিটি ফোরাম এর আহ্বায়ক। একসময় যৌথ মঞ্চে ছিলেন। মঞ্চের থেকে নিজের একটি ডিএ সংক্রান্ত মামলার খরচ চালাবার জন্য মোটা অঙ্কের ডোনেশন চান। কিন্তু যৌথ মঞ্চে সামিল ৬০টি শাখা তাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে এভাবে একজনের নামে চলা মামলার জন্য অনুদান দিতে অস্বীকার করে।
অয়ন ঘোষাল: আন্দলনের নামে তহবিল গড়ে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ময়দান থানায় লিখিত অভিযোগ মঞ্চেরই এক সদস্যের। গ্রেফতারি এড়াতে কোলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে আগাম জামিন নিলেন মঞ্চের ৭ শীর্ষ নেতা।
অভিযোগকারী দেবপ্রসাদ হালদার। ইউনিটি ফোরাম এর আহ্বায়ক। একসময় যৌথ মঞ্চে ছিলেন। মঞ্চের থেকে নিজের একটি ডিএ সংক্রান্ত মামলার খরচ চালাবার জন্য মোটা অঙ্কের ডোনেশন চান। কিন্তু যৌথ মঞ্চে সামিল ৬০টি শাখা তাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে এভাবে একজনের নামে চলা মামলার জন্য অনুদান দিতে অস্বীকার করে।
এককালীন দেবব্রত বাবুকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ব্যক্তিগত ভাবে মঞ্চের একাধিক সদস্য তাকে আরও বেশ কিছু টাকা সাহায্য করে। তা সত্বেও মামলার পুর্ণ খরচ কত? তা মঞ্চের নেতাদের বারংবার আবেদন সত্বেও তিনি হিসেব দিতে রাজি হননি।
মঞ্চের এক বৈঠকের পর হঠাৎ দেবপ্রসাদ বাবু সরাসরি মিডিয়ার সামনে নিয়ে আসেন। যৌথ মঞ্চের তহবিল নয়ছয়ের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনেন তিনি। এরপর যৌথ মঞ্চ পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে। সেখানে বিগত দিনের সমস্ত আয় ব্যায়ের হিসেব অডিট রিপোর্ট আকারে প্রকাশ করা হয়।
তা সত্বেও ময়দান থানায় এই মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দেবপ্রসাদ হালদার। বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। সেখানে বিচারপতি অভিজিত গাঙ্গুলী জানান, যদি নির্দিষ্ট কারুর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে মঞ্চের পেশ করা অডিট রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে দেবপ্রসাদ বাবু নিজের অভিযোগ জমা দিতে পারেন।
এরপরই আদালতে আগাম জামিনের আর্জি জানান যৌথ মঞ্চের ৭ নেতা। এরা হলেন ভাস্কর ঘোষ, শৈবাল সরকার, নির্ঝর কুন্ডু, রাজীব দত্ত, চন্দন চ্যাটার্জি, সন্দীপ ঘোষ ও ইন্দ্রজিত মন্ডল। দেবপ্রসাদ হালদার থানায় জানিয়েছেন, যৌথ মঞ্চের আন্দোলনের নামে এখনও পর্যন্ত ২ কোটি টাকা চাঁদা তোলা হয়েছে। এই তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে পাল্টা দাবি যৌথ মঞ্চের।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: ‘কতদিন ওকে কোলে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা ব্যানার্জি?', অভিষেককে তোপ দিলীপের
পাশাপাশি, যৌথ মঞ্চের মিছিলের রুটের অন্যতম হাজরা মোড়ে আগামি ৩ জুন পাল্টা সভা করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। সভা হবে হাজরা মোড়ে ঠিক সেই জায়গায়, যেখানে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মিছিলের দিন মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় মঞ্চনার প্রতিবাদে এই সভা করতে চলেছে ফেডারেশন। সুব্রত বক্সি, মানস ভুইয়্যা, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা ৩ তারিখের সভার অন্যতম প্রধান বক্তা।
এই সভার দিকেও তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘সেদিন বোঝা যাবে, কাদের কাদের ডিএ-র প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমাদের ডিএ প্রয়োজন আছে। আমরা সেদিন কাগজ কলম নিয়ে ওখানে গিয়ে নোট করে নেব, কারা এখনও রাজ্য সরকারের পাশেই আছেন’।