সারদা সাম্রাজ্যের হালহদিশ ফাঁস- বাজার থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা তুলেছিলেন সুদীপ্ত সেন
বাজার থেকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার তুলেছিল সারদা। সবটাই নিয়ন্ত্রণ করতেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। যৌথ রিপোর্টে জানিয়েছে রাজ্য পুলিস ও এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের হাতে থাকা ওই রিপোর্টে প্রকাশ, এ রাজ্য, ওড়িশা, আসম, ঝাড়খণ্ড ও অন্য রাজ্যে জাল বিস্তার করেছিল সারদা।
বাজার থেকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা তুলেছিল সারদা। সবটাই নিয়ন্ত্রণ করতেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। যৌথ রিপোর্টে জানিয়েছে রাজ্য পুলিস ও এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের হাতে থাকা ওই রিপোর্টে প্রকাশ, এ রাজ্য, ওড়িশা, আসম, ঝাড়খণ্ড ও অন্য রাজ্যে জাল বিস্তার করেছিল সারদা।
কতটা বিরাট সারদা কাণ্ড, তা বোঝা যাচ্ছে রাজ্য পুলিস এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের রিপোর্টে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের হাতে থাকে সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে--
সারদা কেলেঙ্কারির মোট পরিমাণ ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা।
৮০ শতাংশ আমানতকারী এখনও ফেরত পাননি তাঁদের গচ্ছিত টাকা।
কোন প্রলোভনে আমানতকারীদের থেকে টাকা তুলত সংস্থা?
রিপোর্ট বলছে,টাকা তোলা হত সারদা রিয়েলটি, সারদা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস, সারদা হাউজিং এবং সারদা গার্ডেন রিসর্ট অ্যান্ড হোটেলসের নামে।
ফিক্সড ডিপোজিট, রেকারিং ডিপোজিট ও মান্থলি ইনকাম ডিপোজিট এই তিনটি স্কিমে টাকা তোলা হত।
টোপ দেওয়া হত নির্দিষ্ট সময়ের পর বিদেশে ভ্রমণ বা জমি-বাড়ি।
রাজ্য পুলিস ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের রিপোর্ট অনুযায়ী, সমস্ত টাকার নিয়ন্ত্রণ ছিল সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের হাতে।
২০০৮-১২ পর্যন্ত সারদার সারাংশ রিপোর্টে দেখানো হয়, বাজার থেকে ২৪৫৯. ৫৯ শতাংশ টাকা তাঁরা তুলেছেন।
বিনিয়োগকারীদের ফেরত দেওয়া অর্থের পরিমাণ ৪৭৬.৫৭ কোটি টাকা।
২০১৩ সালে এপ্রিল মাসে কোম্পানির মূলধন ফেরত দেওয়ার কথা ছিল ১ হাজার ৯৩০ .০২ টাকা।
রাজ্য সরকারের তরফে আমানতকারীদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন ৫০০ কোটির তহবিল গঠনের। বেশ কিছু আমানতকারীদের টাকা ফেরতও দিয়েছে সরকার। কিন্তু তা সরকারি কোষাগার থেকে। সারদার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কোনও উদ্যোগ এখনও নেওয়া হয়নি। তাতেই ক্ষুব্ধ বিরোধীরা।
সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদেরও। সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছে শাসক দল তৃণমূলের ঘর থেকেও। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি কেউই। তা কি এই বিরাট কেলেঙ্কারিকে ধামা চাপা দিতেই। প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।