সারদা কাণ্ড: দীর্ঘ জেরা জেনাইটিস কর্তাকে, সিবিআই-এর জেরার মুখে অসমের ব্যবসায়ীও, বাড়ান হল সন্ধির আগরওয়ালের হেফাজত

সারদা তদন্তে সিবিআই তত্‍পরতা অব্যাহত। বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে জেনাইটিস কর্তা শান্তনু ঘোষ ও অসমের ব্যবসায়ী রাজেশ বাজাজকে টানা জেরা করেন গোয়েন্দারা। ইস্টবেঙ্গল কর্তা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সন্ধির আগরওয়ালকে আরও পাঁচদিনের হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই। মধ্য কলকাতায় সুদীপ্ত সেনের নতুন সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি।

Updated By: Aug 28, 2014, 09:26 AM IST
সারদা কাণ্ড: দীর্ঘ জেরা জেনাইটিস কর্তাকে, সিবিআই-এর জেরার মুখে অসমের ব্যবসায়ীও, বাড়ান হল সন্ধির আগরওয়ালের হেফাজত

কলকাতা: সারদা তদন্তে সিবিআই তত্‍পরতা অব্যাহত। বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে জেনাইটিস কর্তা শান্তনু ঘোষ ও অসমের ব্যবসায়ী রাজেশ বাজাজকে টানা জেরা করেন গোয়েন্দারা। ইস্টবেঙ্গল কর্তা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সন্ধির আগরওয়ালকে আরও পাঁচদিনের হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই। মধ্য কলকাতায় সুদীপ্ত সেনের নতুন সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি।

সারদার সিবিআই তদন্তে নয়ামোড়। অসমের ব্যবসায়ী রাজেশ বাজাজকে জেরা  করলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বুধবার বেলা একটা থেকে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত ছ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। সিবিআইয়ের দাবি, সুদীপ্ত সেন তাঁদের জানিয়েছেন, তিনি যখন ২৮ কোটি টাকা দিয়ে এনই অসম চ্যানেল কিনেছিলেন, তখন মধ্যস্থতা করেছিলেন রাজেশ বাজাজ। এনই অসম চ্যানেল কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। তার জন্য মাতঙ্গ সিংকে আঠাশ কোটি টাকা দিয়েছিলেন । পরে সেই চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু মাতঙ্গ সিং তাঁকে আঠাশ কোটি টাকা ফেরত দেননি বলে অভিযোগ সারদা কর্তার। জেরা শেষে রাজেশ বাজাজের দাবি, বিধাননগর থানায় এই সংক্রান্ত চেক জমা দিয়েছেন তিনি।

জেরা করা হয়েছে জেনাইটিস কর্তা শান্তনু ঘোষকেও। বেলা ১২ থেকে সন্ধে ৭টা ৩০ পর্যন্ত তাঁকে টানা জেরা করা হয়। ২০১০ সালে শান্তনু ঘোষের থেকে চ্যানেল টেন কিনেছিলেন সুদীপ্ত সেন। জেনাইটিসের গ্লোবাল অটোমোবাইলসের বাইক কারখানাও শান্তনু ঘোষের থেকে কিনে নেন তিনি। ৭ ব্যাঙ্কে ১৮৯ কোটি টাকার ঋণ ছিল গ্লোবাল অটোমোবাইলসের। তদন্তকারীদের কাছে সুদীপ্ত সেনের দাবি, সেই টাকার একাংশ শোধ করেছিলেন তিনি। পরে সুদীপ্ত সেন ২ কোটি টাকায় চ্যানেল টেন বিক্রি করেন। গ্লোবাল অটো মোবাইল বিক্রি করেন ৫৪ কোটি টাকায়। চ্যানেল টেন ও গ্লোবাল অটো মোবাইলসকে সামনে রেখে যে টাকা খাটানো হয়েছিল, ইডির তদন্তে আগেই তা উঠে এসেছে। আমানতকারীদের টাকা তছরুপে দুটি ব্র্যান্ডকে কাজে লাগানো হয়েছিল বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। সিবিআইয়ের সন্দেহ, পুরো টাকা কীভাবে বিভিন্ন জায়গায় সরানো হয়েছে, শান্তনু ঘোষ সেবিষয়ে জেনে থাকতে পারেন।   

সারদাকাণ্ডে ধৃত ব্যবসায়ী সন্ধির আগরওয়ালকে বুধবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। তাঁকে পয়লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সারদা তদন্তে সুদীপ্ত সেনের নতুন সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। মধ্য কলকাতায় একটি বার কাম রেস্তোরাঁ কিনেছিলেন সারদাকর্তা। রেস্তোরাঁর প্রকৃত দাম যা হওয়া উচিত, অফিসিয়াল নথিতে তার চেয়ে বেশি দাম দেখানো হয়েছে।  

 

 

.