বালিগঞ্জ থানার পেছন থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ দশম শ্রেণির ছাত্র
শনিবার খাস কলকাতার ব্যস্ত এলাকা বালিগঞ্জ থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হল দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্র। আর এই ঘটনা ঘটল খোদ বালিগঞ্জ থানার নাকের ডগায়। থানার পিছনেরই একটি দেওয়ালে মিলেছে রক্তের দাগ। অথচ কিছুই নাকি টের পায়নি পুলিস। রোমহর্ষক এই ঘটনায় আরও একবার প্রশ্নের মুখে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
শনিবার খাস কলকাতার ব্যস্ত এলাকা বালিগঞ্জ থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হল দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্র। আর এই ঘটনা ঘটল খোদ বালিগঞ্জ থানার নাকের ডগায়। থানার পিছনেরই একটি দেওয়ালে মিলেছে রক্তের দাগ। অথচ কিছুই নাকি টের পায়নি পুলিস। রোমহর্ষক এই ঘটনায় আরও একবার প্রশ্নের মুখে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩৯ বেলতলা রোড পেয়ারাবাগানের বাসিন্দা সুরজিত্ মণ্ডল। দশম শ্রেণির ছাত্র। তবে এরমধ্যেই বিয়ে করে ফেলেছে। প্রতিদিনের মতো শনিবারও বিকেল পাঁচটা নাগাদ শরত বোস রোডের টিউশন ক্লাসে ঢোকে সুরজিত্। সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বাথরুমে যাওয়ার নাম করে কোচিং থেকে বেরিয়ে যায়। সন্ধে পৌনে ৬টা নাগাদ হঠাতই ফোন আসে সুরজিতের মায়ের কাছে। ফোনে সে বলে, `মা ওরা আমাকে মারছে`।
পরিবারের দাবি, কে বা কারা মারছে তা বলার আগেই লাইন কেটে যায়। বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। সুরজিতের কথার সূত্র ধরে বালিগঞ্জ থানার পেছনে নাককাটা গলিতে ছুটে যান পরিবারের লোকেরা।
দেখা যায়, বালিগঞ্জ থানার পিছনের একটি দেওয়ালে লেগে আছে রক্তের দাগ। পড়ে আছে সুরজিতের জামা, জুতো। সঙ্গে সঙ্গে বালিগঞ্জ থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিস কুকুর নিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। কিন্তু কুকুর কোনও সূত্রই দিতে পারেনি। এরমধ্যেই একটি মোবাইলের সিম কার্ডের টুকরো দিয়ে যায় সুরজিতের পরিবার। সেটি সুরজিতেরই কিনা, তা স্পষ্ট নয় পুলিসের কাছে। পুলিস জেনেছে, শনিবার সকাল নটা নাগাদ সুরজিতের সঙ্গে ঝামেলা হয় প্রতিবেশী একাদশ শ্রেণির ছাত্র শুভাশিসের। কিন্তু শুভাশিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায় সে ডায়মন্ডহারবারে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আছে।
তবে শুভাশিস ঘটনার সঙ্গে যুক্তি কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় পুলিস। খটকা আছে আরও আরও। পুলিস জানাচ্ছে, পৌনে ছটায় করা ফোনের টাওয়ার লোকেশন ছিল ভবানীপুরের বকুলতলা। তাহলে বালিগঞ্জ থানার পিছনে রক্ত, সুরজিতের জামাকাপড় এল কী ভাবে? তবে কি অন্য কোথাও মারধর করে সুরজিতের জামাকাপড় বালিগঞ্জ থানার পিছনে ফেলে যাওয়া হয়েছে? কোথায় আছে সুরজিত? প্রশ্নগুলোর উত্তর এখনও জানা নেই পুলিসের। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে শনিবারই বালিগঞ্জ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান সুরজিতের প্রতিবেশিরা। সুরজিতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের মামলা শুরু করেছে পুলিস।