সারা রাজ্যে গরমের ছুটি, স্কুল খুললেন হেডস্যার 'তুঘলক'
শিক্ষা দফতরের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল। গরমের ছুটি শেষ হওয়ার এগারো দিন আগেই স্কুল খুলে দিলেন প্রধান শিক্ষক। গরমে নাজেহাল ছাত্রছাত্রীরা। ছুটি বাড়াতে অভিভাবকদের অনুরোধ-উপরোধেও চিঁড়ে ভিজল না। নিজের গড়া তুঘলকি নিয়মকে মান্যতা দিতে নানা অজুহাত খাড়া করলেন হেডস্যার।
ওয়েব ডেস্ক: শিক্ষা দফতরের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল। গরমের ছুটি শেষ হওয়ার এগারো দিন আগেই স্কুল খুলে দিলেন প্রধান শিক্ষক। গরমে নাজেহাল ছাত্রছাত্রীরা। ছুটি বাড়াতে অভিভাবকদের অনুরোধ-উপরোধেও চিঁড়ে ভিজল না। নিজের গড়া তুঘলকি নিয়মকে মান্যতা দিতে নানা অজুহাত খাড়া করলেন হেডস্যার।
চাঁদিফাটা গরম। দহনক্লিষ্ট কলকাতা। জেলায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। তবে কলকাতার কান ঘেঁষেই বেরিয়ে যাচ্ছে ঝড়বৃষ্টি। নাজেহাল মানুষ। আর এই তীব্র তাপে যদি ইউনিফর্ম পরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্কুলে কাটাতে হয়, তার চেয়ে কষ্টের আর কিছু হতে পারে না। ঠিক এই ছবিটাই ধরা পড়েছে দমদমের কুমার আশুতোষ ইনস্টিটিউশনে।
১৯শে মে থেকে ৭ই জুন। গরমের ছুটি ঠিক করে দিয়েছে শিক্ষা দফতর। সেইমতো সব স্কুলেই এখন ছুটি। কিন্তু ২৭শে মে খুলে গেছে দমদমের কুমার আশুতোষ ইনস্টিটিউশনে। স্কুলেও আসতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। মাথার ঘাম পায়ে পড়লেও নিস্তার নেই। অভিভাবকরাও চিন্তিত। কিছুটা ক্ষুব্ধও।
আর সেই হেডস্যার, স্কুল খুলে যিনি কাঠগড়ায়? তাঁর তুঘলকি নিয়মের সপক্ষে যুক্তির জাল বুনলেন। তিনি বলছেন, 'স্কুলের মতো করে নিয়ম করে নিতে পারি'। নির্ধারিত ছুটির আগেই স্কুল খুললেও অনুতপ্ত নন গুণধর হেডস্যার। শিক্ষা দফতর শুনছে কি?