শর্ট স্ট্রিট ঘটনায় সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য

শর্ট স্ট্রিটের ঘটনা কার্যত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল শহরে পুলিস ও জমি মাফিয়াদের আঁতাঁতের বিষয়টি। কীভাবে পুলিসের সহযোগিতা নিয়ে শর্ট স্ট্রিটের জমি দখলের চেষ্টা হয়েছিল তা ইতিমধ্যে সকলের জানা। চার্জশিটে সাব ইন্সপেক্টর নূর আলির ভূমিকা উল্লেখ করেছে পুলিস। কিন্তু এর পরেই উঠেছে অনেককে আড়াল করার অভিযোগ।

Updated By: Feb 5, 2014, 11:23 PM IST

শর্ট স্ট্রিটের ঘটনা কার্যত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল শহরে পুলিস ও জমি মাফিয়াদের আঁতাঁতের বিষয়টি। কীভাবে পুলিসের সহযোগিতা নিয়ে শর্ট স্ট্রিটের জমি দখলের চেষ্টা হয়েছিল তা ইতিমধ্যে সকলের জানা। চার্জশিটে সাব ইন্সপেক্টর নূর আলির ভূমিকা উল্লেখ করেছে পুলিস। কিন্তু এর পরেই উঠেছে অনেককে আড়াল করার অভিযোগ।

শর্ট স্ট্রিটে ভোর রাতে গুলিতে দুজন নিহত হওয়ার পরে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে স্পষ্ট হয়েছে পুলিসের সঙ্গে জমি মাফিয়াদের সম্পর্ক। তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারেন শর্ট স্ট্রিটে ১১ নভেম্বরের ঘটনার আগেই দুজন কনস্টেবলকে পাহারায় মোতায়েন করেছিল শেক্সপিয়র সরণি থানা। খাতায় কলমে অর্থাত্ জিডি করে এই দুই কনস্টেবলকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সেই কনস্টেবলদের জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন এমন দায়িত্বের কথা তাঁদেরই জানা নেই। শেক্সপিয়র সরণি থানার সাব ইন্সপেক্টর নূর আলির মোবাইলের কল লিস্ট পরীক্ষা করে গোয়েন্দারা দেখেছেন, ঘটনার দিন নূর আলি পরাগ মজমুদার, পিনাকেশ দত্ত ও সমীর রিয়াজকে একশোরও বেশিবার ফোন করেন। নিজে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার না করলেও ওই ঘটনায় ধৃত প্রত্যেক অভিযুক্তই পুলিসের কাছে স্বীকার করেছ, জমি মাফিয়াদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছ নূর আলি

আর স্বাভাবিক ভাবেই এরপর প্রশ্ন উঠেছে, পুলিসের আরও দুই কর্তার বিরুদ্ধে। তত্কালীন শেক্সপিয়র সরণি থানার ওসি এবং স্থানীয় এসি-কে এই ঘটনার পরেই বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে তারপর আর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। তাই শর্টস্ট্রিট কাণ্ডে পুলিসকর্তাদের আড়ালের অভযোগ আরও একবার জোরাল হয়েছে।

.