খোলামেলা আলোচনায় সমালোচিত দলীয় নেতৃত্ব
রাজ্যে দলের বিপর্যয়ের দায় কোনও ব্যক্তিবিশেষের নয়। রাজ্য সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে দলীয় সদস্যের কাছে এই বার্তাই দিতে চাইল সিপিআইএম নেতৃত্ব। সম্মেলন চলাকালীন এক সাংবাদিক বৈঠকে সিপিআইএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী জানান ত্রুটি খুঁজতে সমালোচনা হচ্ছে।
রাজ্যে দলের বিপর্যয়ের দায় কোনও ব্যক্তিবিশেষের নয়। রাজ্য সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে দলীয় সদস্যের কাছে এই বার্তাই দিতে চাইল সিপিআইএম নেতৃত্ব। সম্মেলন চলাকালীন এক সাংবাদিক বৈঠকে সিপিআইএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী জানান ত্রুটি খুঁজতে সমালোচনা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি একথাও স্বীকার করেন, সম্মেলনে খোলামেলা আলোচনায় সমালোচিত হচ্ছেন দলীয় নেতৃত্বও।
সিপিআইএমের রাজ্য সম্মেলনে একটি বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক থেকে একজন সাধারণ সদস্য প্রত্যেকেই একমত। তাহল নতুন সরকারের কাজে বহু মানুষের মোহভঙ্গ হচ্ছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয়, বামেদের হারানো সমর্থন পুনরুদ্ধার হচ্ছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রতিনিধিরা তাদের আলোচনায় স্বীকার করেছেন বাম সরকারের আমলে এলাকায় এলাকায় এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যাতে দলের ভাবমূর্তি তলানিতে পৌঁছেছে। বাম জমানার শেষ ৫ বছরে জমি অধিগ্রহণ, শিল্পায়ন ইস্যুতে বিতর্কের ঝড় ওঠে। সম্মেলনে প্রতিনিধিরা বলেন এইসব বিতর্ককে দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিতে খামতি ছিল দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে।
সিপিআইএমের রাজ্য সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে দীর্ঘসময় ধরে জেলায় জেলায় রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়ে আলোচনা হয়। এই ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রতিনিধিরা। তারা বলেন, সন্ত্রাসের কারণে দলের বহু কর্মী এখনও ঘরছাড়া। সিপিআইএমের জেলা নেতৃত্ব মনে করছেন দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি না হলে, পঞ্চায়েত নির্বাচন দলের কাছে কঠিন হবে।