সাইকো রহস্য: এখনও অধরা যে প্রশ্নগুলির উত্তর
সাইকো রহস্যে সমাধানের অনেকটাই কাছাকাছি পৌছে গেল পুলিস। অরবিন্দ দে-র আত্মহত্যা নিয়ে আর কোনও প্রশ্ন নেই। কঙ্কালের পরিচয় সম্পর্কে ধীরে ধীরে ধোঁয়াশা কাটছে। যদিও এখনও অধরা বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর।
ব্যুরো: সাইকো রহস্যে সমাধানের অনেকটাই কাছাকাছি পৌছে গেল পুলিস। অরবিন্দ দে-র আত্মহত্যা নিয়ে আর কোনও প্রশ্ন নেই। কঙ্কালের পরিচয় সম্পর্কে ধীরে ধীরে ধোঁয়াশা কাটছে। যদিও এখনও অধরা বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর।
রবিনসন স্ট্রিটে দে পরিবারে ঠিক কী হয়েছিল? সময় যত এগোচ্ছে, একের পর এক রহস্যের পর্দা উঠছে। অরবিন্দ দে যে আত্মহত্যাই করেছেন তা নিয়ে আর কোনও সংশয় নেই। সোমবার ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অরবিন্দ দে নিজেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। দে পরিবারের বাথরুমে যে লাল দাগ মিলেছে তা রক্ত নয় বাথরুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল।
এমনকি ঘটনাস্থলে উদ্ধার শাবল রহস্যও আর রহস্য নয়। দমকল কর্মীরা পুলিসকে জানিয়েছেন, সে রাতে তাঁরাই শাবল নিয়ে গিয়েছিলেন রবিনসন স্ট্রিটের বাড়িতে।
কিন্তু, কেন আত্মঘাতী হলেন অরবিন্দ দে? এক্ষেত্রে পুলিসের অনুমান, সম্ভবত পারিবারিক তিক্ততা সহ্য করতে পারেননি তিনি। মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের পার্থও জানিয়েছেন,
বাবার সঙ্গে আমাদের মতের অমিল ছিল। একই বাড়িতে আমরা আলাদা আলাদা থাকতাম।
পরিবারে যে বিভাজনের বিষ ছিল, অরবিন্দবাবুর ভাই অরুণ দে-র বয়ানেও তার প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। অরুণ দে জানিয়েছেন, বৌদি মারা যাবার পর বাড়ির কেউ শ্মশানে যায়নি। এমনকি দাদাও যায়নি।