দরজার ফাঁকে আটকেছিল যাত্রীর হাতের কব্জি না পাঞ্জা? জটিল জটে মেট্রো তদন্ত
মেট্রোর দাবি, দরজার ফাঁকে আটকেছিল নিহত যাত্রীর হাতের আঙুল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জটিল জটে মেট্রো তদন্ত। দরজা ফাঁকে আদৌ আটকেছিল কী? কব্জি না পাঞ্জা? এক্ষেত্রে মেট্রোর দাবি, দরজার ফাঁকে আটকেছিল নিহত যাত্রীর হাতের আঙুল। সেক্ষেত্রে মেট্রোর অপরাধ অনেকটাই লঘু হয়। কিন্তু তা না হলে ধরা পড়বে মেট্রোর কারিগরি ক্রটি। সোমবারই ঘটনার তদন্তে এসেছে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। বুধবার ফের এই ঘটনার তদন্তে আসবে সিএমআরএস।
উল্লেখ্য, আড়াই বছর আগে রেকগুলি চলে এলেও, বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমস্যার অভিযোগ উঠছিল। প্রথমে রেকগুলিকে যাত্রী পরিষেবায় ব্যবহার করা যায়নি। গত শনিবারের দুর্ঘটনার পর মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে একটি যুক্তি খাঁড়া করা হয়েছিল। মেট্রো কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ১৫ মিলিমিটারের নীচে দরজার ফাঁকে কিছু ঢুকে থাকলে, তা ‘সেন্স’ করতে পারে না। ১৫ মিমি-র ওপরে কিছু আটকালে দরজা সেন্স করতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির হাতের তালু মেট্রোর দরজার ফাঁক দিয়ে লম্বালম্বিভাবে ভিতরে ঢোকানো ছিল। এক্ষেত্রে মেট্রো দাবি করছে, দরজার ফাঁকে, ব্যক্তির হাতের আঙুল আটকে গিয়েছিল। ১৫ মিমি-র কম হওয়ায় তা ‘সেন্স’ করতে পারেনি দরজা। ফলে চালক মেট্রো চালিয়েছিলেন।
দরজায় হাত আটকালে টেনে বার করে নিন, নিদান মেট্রোর জনসংযোগ আধিকারিকের
নতুন রেকগুলিতে কোনও কিছু দরজার ফাঁকে আটকে গেলে, যাত্রীরা ভিতর থেকে দরজাটি দুদিকে ঠেলে ৩০মিমি পর্যন্ত সরাতে পারেন। কিন্তু এই নতুন নিয়ম যাত্রীদের পক্ষে জানা অসম্ভব। মেট্রোর যুক্তি, দরজায় হাত আটকে গেলে, টেনে বার করে নিন নিত্যযাত্রীরা। সোমবার মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে মোটরম্যানের কেবিনের পাশে লাগানো থাকবে একটি আয়না। যাতে কোনও যাত্রী দরজায় আটকে রয়েছেন কি না তা দেখতে পাবেন তিনি। সোমবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত কোচটি পরিদর্শনের পর এই পরামর্শ দেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি।
মেট্রো দুর্ঘটনার তদন্তে মামলা রুজু করে তদন্তে পুলিস। সিসিটিভি-র ফুটেজ চেয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে চিঠি। প্রযুক্তিগত তথ্যও তলব করেছে কলকাতা পুলিস। ঘটনার সময়ে কে কী দায়িত্বে ছিলেন, তা জানতে চেয়েছে পুলিস।