নিয়ম, নীতি মেনে সাবেকিয়ানার পথ ধরে আজও শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো অম্লান

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে পুজোর ধরণ। সাবেকিয়ানার জায়গা নিয়েছে থিম। কিন্তু পুরনো ঐতিহ্য আজও অম্লান শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজোয়। নিয়ম মেনেই মহাষষ্ঠীর দিন বোধনের মাধ্যমে দেবীর আরাধনা শুরু হয়। তারপর প্রত্যেকটা দিনই থাকে নিয়মের ঘেরাটোপে। সপ্তমীর দিন রীতিমেনে নবপত্রিকা স্নানের পর ঘট বসিয়ে সঙ্কল্প করে শুরু হয় শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো। পালা করে প্রতিবছর পরিবারের একজন সদস্যের উপর পড়ে পুজোর দায়িত্ব। যাঁর ওপর পুজোর দায়িত্ব পড়ে তার নামেই করা হয় সঙ্কল্প। এরপর চলে চক্ষুদান, আরতির পালা। 

Updated By: Oct 12, 2013, 10:00 AM IST

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে পুজোর ধরণ। সাবেকিয়ানার জায়গা নিয়েছে থিম। কিন্তু পুরনো ঐতিহ্য আজও অম্লান শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজোয়। নিয়ম মেনেই মহাষষ্ঠীর দিন বোধনের মাধ্যমে দেবীর আরাধনা শুরু হয়। তারপর প্রত্যেকটা দিনই থাকে নিয়মের ঘেরাটোপে। সপ্তমীর দিন রীতিমেনে নবপত্রিকা স্নানের পর ঘট বসিয়ে সঙ্কল্প করে শুরু হয় শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো। পালা করে প্রতিবছর পরিবারের একজন সদস্যের উপর পড়ে পুজোর দায়িত্ব। যাঁর ওপর পুজোর দায়িত্ব পড়ে তার নামেই করা হয় সঙ্কল্প। এরপর চলে চক্ষুদান, আরতির পালা। 
শোভাবাজার রাজবাড়িতে বহুকাল আগেই নিষিদ্ধ হয়েছে পাঠাবলি। তবে বলি আজও হয়। বলি দেওয়া হয় চালকুমড়ো, কুমড়ো এবং একটি মাগুর মাছ।  
 
রাজবাড়ির নিয়ম অনুযায়ী অন্নভোগের রীতি চালু নেই। তাই দেবী দুর্গাকে সপ্তমীতে মিঠাই ভোগ নিবেদন করা হয়। নিয়ম তো আছেই তারই মধ্যে রয়েছে বাড়ির সদস্যদের আড্ডা, গল্প, সাজগোজও। পুজো উপলক্ষে প্রতিবছর কলকাতায় আসেন পরিবারের সদস্যেরা।
 
শোভাবাজার রাজবাড়ির নিয়ম মেনেই দশমীর দিন ওড়ানো হয় নীলকণ্ঠ পাখি। তবে এখন সেই প্রথায় বাধ সেধেছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু এখনও পরম্পরা মেনেই চলে প্রতীকি নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো।
 
কলকাতার চালচিত্র পাল্টেছে, পাল্টেছে পুজোর প্রথাও। তবে শোভাবাডার রাজবাড়ির পুরনো নিয়ম এখনও অটুট। আর সেই কারণেই হয়তো রাজবাড়ির পুজো দেখতে আজও ভিড় করেন দর্শনার্থিরা।
 

.