স্কুল বাড়িতে প্রোমোটারের থাবা, আতঙ্কে কর্তৃপক্ষ

স্কুল বাড়ি ভাঙাকে কেন্দ্র করে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াল দক্ষিণ কলকাতার সেন্ট মেরি স্কুলে। কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে ক্লাস শুরু হওয়ার পরে, ১৪৪ ধারাকে উপেক্ষা করে ফের স্কুল বাড়ি ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয় প্রমোটারের নিয়োগ করা কয়েকজন স্থানীয় দুষ্কৃতী।

Updated By: Mar 6, 2012, 05:38 PM IST

স্কুল বাড়ি ভাঙাকে কেন্দ্র করে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াল দক্ষিণ কলকাতার সেন্ট মেরি স্কুলে। কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে ক্লাস শুরু হওয়ার পরে, ১৪৪ ধারাকে উপেক্ষা করে ফের স্কুল বাড়ি ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয় প্রমোটারের নিয়োগ করা কয়েকজন স্থানীয় দুষ্কৃতী। আতঙ্কের পরিবেশেই মঙ্গলবার সকালে ক্লাস শুরু হয় দক্ষিণ কলকাতার সেন্ট মেরি স্কুলে। তবে সোমবারের ঘটনার জেরে অনেক অভিভাবকই তাঁর সন্তানকে পাঠাননি স্কুলে। কিছু ক্ষেত্রে আবার খুদে পড়ুয়ারাও ভয়ে আসতে চায়নি স্কুলে। তাই অন্যান্য দিনের তুলনায় মঙ্গলবার উপস্থিতির হার ছিল কম।
যে সমস্ত অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের স্কুলে নিয়ে এসেছিলেন, অন্যদিনের মত তাঁরা এদিন আর ফিরে যাননি বাড়ি। বরং যেন কোনও অশনি সঙ্কেতের পূর্বাভাস পেয়ে, তাঁদের অনেকেই ছিলেন স্কুল চত্বরে। তাঁদেরই অভিযোগ, সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ ফের স্কুলে ঢুকে, অভিভাবক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষকে প্রকাশ্যে তুলে দেওয়ার হুমকি দেয় প্রমোটারের নিয়োগ করা স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। তাঁদের অভিযোগ, যে ব্যক্তি এই হুমকি দিয়েছিল, সোমবারই তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। তাই কীভাবে সেই ব্যক্তিই ফের এসে হুমকি দিল, তা নিয়ে ধন্দে অভিভাবকরা।
 
এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় লেক থানার পুলিস। অভিযোগ, তারা কীভাবে প্রমোটারের থাবা থেকে স্কুলকে বাঁচানো যায়, সেই পরামর্শ না দিয়ে, স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের থানায় গিয়ে পুরো বিষয়টি প্রমোটারের সঙ্গে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেয়।
 
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি অভিভাবক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী তথা এলাকার প্রাক্তন সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানোর প্রতিশ্রুতি দেন। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের আশ্বাসে, কিছুটা স্বস্তিতে অভিভাবকরা। তবে তাঁদের আশঙ্কা, প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ না নিলে, স্কুল বাঁচানো অসম্ভব।
 

.