আদালত নয়, নিজেদের প্রস্তাবিত রুটেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চায় রাজ্য সরকার
তাদের প্রস্তাবিত নতুন রুটেই হোক ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। এমনটাই চাইছে রাজ্য সরকার।
কলকাতা: তাদের প্রস্তাবিত নতুন রুটেই হোক ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। এমনটাই চাইছে রাজ্য সরকার।
পুরনো রুটে মেট্রোর কাজ শুরুর জন্য গত সেপ্টেম্বরেই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া। রাজ্য অবশ্য নিজেদের অবস্থানে অনড়। রুট পরিবর্তন নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে সরকার।
পুরনো রুট অনুযায়ী ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো বউবাজার হয়ে বিবাদী বাগ ছুঁয়ে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল।
২০১২ সালে রাজ্য সরকার রুট পরিবর্তনের প্রস্তাব দেয়। তাদের প্রস্তাব ছিল, এসপ্ল্যানেড হয়ে মেট্রো রুট বিবাদী বাগ আসলে অনেক বেশি যাত্রীর সুবিধা হবে। তখনই বিস্তারিত প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরির জন্য রাইটস সংস্থাকে দায়িত্ব দেয় রাজ্য।
যদিও এই প্রস্তাব মানতে রাজি হয়নি কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন। আপত্তি জানায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন বা জাইকা-ও। তাদের আপত্তির মূল কারণ ছিল, রুট পরিবর্তন হলে প্রকল্পের খরচ প্রায় ১২০০ কোটি টাকা বেড়ে যাবে। এরপরই থমকে যায় মেট্রোর কাজ।
আদালতে যায় নির্মাণকারী সংস্থা। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতেই বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া গত সেপ্টেম্বরে পুরনো রুটে মেট্রোর কাজ শুরুর নির্দেশ দেন। কিন্তু রাজ্য পরিবর্তিত রুটেই কাজ করতে চায়। এনিয়ে গত সপ্তাহেই সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের বক্তব্য হাইকোর্টের নির্দেশ মানতে হলে বউবাজারে দুই একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে ৯০টি দোকান সরাতে হবে। এতে মোটেই রাজি নয় রাজ্য।
অন্যদিকে, সল্টলেকের দত্তাবাদেও আটকে রয়েছে মেট্রোর কাজ। কারণ, সেখানেও বেশ কিছু পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ওই এলাকার বাসিন্দারা তাতে রাজি নন। দুই ক্ষেত্রেই জোর করে বাসিন্দাদের সরাতে চায় না রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে আইনের পরামর্শ নিচ্ছে সরকার। প্রয়োজনে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যেতে পারে রাজ্য।