অর্থিক সঙ্কটের জেরে কোপ পড়ছে রাজ্য পরিবহণ কর্মীদের বোনাসে
চলতি বছর পুজোর বোনাস বা অগ্রিম পাবেন না রাজ্যের ২৫ হাজার সরকারি পরিবহণ কর্মী। বোনাস নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই পরিবহণ দফতরের এই সিদ্ধান্তে হতাশার ছায়া নেমে এসেছে কর্মীদের মধ্যে। প্রতিবাদে সরব হয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। তাঁদের অভিযোগ, শহর সাজানো সহ বহু ক্ষেত্রে সরকার অপ্রয়োজনীয় খরচ করছে। আর, নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শ্রমিক, কর্মচারীরা।
চলতি বছর পুজোর বোনাস বা অগ্রিম পাবেন না রাজ্যের ২৫ হাজার সরকারি পরিবহণ কর্মী। বোনাস নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই পরিবহণ দফতরের এই সিদ্ধান্তে হতাশার ছায়া নেমে এসেছে কর্মীদের মধ্যে। প্রতিবাদে সরব হয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। তাঁদের অভিযোগ, শহর সাজানো সহ বহু ক্ষেত্রে সরকার অপ্রয়োজনীয় খরচ করছে। আর, নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শ্রমিক, কর্মচারীরা।
প্রতিবারই পুজোর আগে অন্যান্য সংস্থার মতো বোনাস ও অগ্রিম টাকা পেতেন রাজ্য সরকারের পরিবহণ কর্মীরাও। কিন্তু, পরিবহণ দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ বছর কর্মীদের বোনাস বা অগ্রিম কোনওটাই দেওয়া হবে না। সরকারের বক্তব্য, আর্থিক সঙ্কটের জেরেই এই সিদ্ধান্ত। যদিও, শ্রমিক সংগঠনগুলি এ কথা মানতে নারাজ। সিটুর অভিযোগ, সৌন্দর্যায়নের মতো নানা প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় খরচ হলেও পরিবহণ কর্মীদের পাওনা মেটাতে উদাসীন রাজ্য সরকার।
বোনাস না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শ্রম কমিশনে যাওয়ার কথা জানিয়েছে আইএনটিইউসি। রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই একাধিক সমস্যায় ভুগছে সরকারি পরিবহণ সংস্থাগুলি। অভিযোগ, আদালতের নির্দেশের পরও একাধিক সংস্থায় নিয়মিত বেতন হচ্ছে না। অবসরপ্রাপ্ত পরিবহণ কর্মীরা ঠিকমতো পেনশন পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ। এই অবস্থায় বন্ধ করে দেওয়া হল পুজোর বোনাসও। যার ফলে উত্সবের মরশুমে চরম হতাশায় রাজ্যের ২৫ হাজার সরকারি পরিবহণ কর্মী ও তাঁদের পরিবার।