ধর্মঘটে স্তব্ধ শহর

সাধারণ ধর্মঘটের ভালো প্রভাব পড়ল কলকাতায় ও আশপাশের এলাকায়। সরকারি বাস বা ট্রেন চললেও তাতে যাত্রী সংখ্যা ছিল খুবই কম। পরে যাত্রীর অভাবে অনেক যানবাহনই রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হয়। রাস্তাঘাট ছিল শুনশান। স্কুলে-অফিসে উপস্থিতি ছিল বেশ কম।

Updated By: Feb 28, 2012, 11:38 PM IST

সাধারণ ধর্মঘটের ভালো প্রভাব পড়ল কলকাতায় ও আশপাশের এলাকায়। সরকারি বাস বা ট্রেন চললেও তাতে যাত্রী সংখ্যা ছিল খুবই কম। পরে যাত্রীর অভাবে অনেক যানবাহনই রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হয়। রাস্তাঘাট ছিল শুনশান। স্কুলে-অফিসে উপস্থিতি ছিল বেশ কম। বাজারগুলিতে দোকানপাট বন্ধ ছিল। ট্যাক্সির যেমন ভাড়া জোটেনি, তেমনই সরকারি বাস চলেছে যাত্রী ছাড়াই।
হাওড়া এবং শিয়ালদহের ২ শাখাতেই ট্রেন চলেছে। তবে অন্যদিনের মতো অফিস টাইমের উপচে পড়া ভিড়ের ছবি চোখে পড়েনি। সরকারি ফতোয়া অগ্রাহ্য করেননি সরকারি কর্মীরা। তাই সকাল থেকেই কাজে যোগ দিয়েছিলেন পরিবহণ কর্মীরা। কিন্তু কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে সরকারি বাস পথে নামলেও যাত্রীর সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। নামমাত্র যাত্রী সংখ্যা নিয়ে দিনভর বাস চলায়, সরকারের লোকসান কয়েকগুণ বাড়ল বই কমল না।  মেট্রো চললেও তা ছিল প্রায় ফাঁকা। যদিও, এসব মানতে নারাজ পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র।
অফিস কাছারি খোলা থাকলেও, প্রভাব পড়েছে উপস্থিতির হারে। অফিস টাইমে অন্যদিনের অতিব্যস্ত বিবাদী বাগ এদিন ছিল ফাঁকা। পার্ক স্ট্রিট, ধর্মতলার চেনা ছবিটাও অচেনা। অপ্রীতিকর ঘটনা অবশ্য এড়ানো যায়নি। যাদবপুরে সিপিআইএমের দলীয় কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সমর্থক দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যমও। সাংবাদিকদের যখন মারা হচ্ছে তখন নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে থাকে পুলিস।
বেহালাতেও বিঘিপ্ত গণ্ডগোলের খবর পাওয়া গিয়েছে। বেহালা ট্রাম ডিপোর কাছে ১৩০ নম্বর ওয়ার্ডে গলির ভিতর ক্রিকেট ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে। যদিও কাউন্সিলরদের দাবি, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অসুবিধের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তাঁরা।

.