একুশে জুলাইয়ের কমিশনে নথি পেশ করতে ব্যর্থ সুব্রত

একুশে জুলাইয়ের কমিশনে কোনও নথি পেশ করতে পারলেন না সুব্রত বক্সি। আজ কমিশনের সামনে স্বাক্ষ্য দিতে যান তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি। সেদিনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সুব্রতবাবু বলেছেন, রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হবে এমন কথা তিনি ভাবেননি। এই কারণে তিনি নথি রাখারও চেষ্টা করেননি।   

Updated By: Aug 29, 2012, 10:05 PM IST

একুশে জুলাইয়ের কমিশনে কোনও নথি পেশ করতে পারলেন না সুব্রত বক্সি। আজ কমিশনের সামনে স্বাক্ষ্য দিতে যান তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি। সেদিনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সুব্রতবাবু বলেছেন, রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হবে এমন কথা তিনি ভাবেননি। এই কারণে তিনি নথি রাখারও চেষ্টা করেননি।   
২১ জুলাই, উনিশশো তিরানব্বই। যুব কংগ্রেসের মহাকরণ অভিযানে পুলিসের গুলিচালনায় তেরোজনের মৃত্যু হয়েছিল। রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই ঘটনার তদন্তে কমিশন গঠন করে। বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি হাজির হয়েছিলেন কমিশনের সামনে। স্বাক্ষ্য দিতে গিয়ে একসময় আবেগতাড়িত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সুব্রতবাবু।
১৯বছর আগে ওই দিনটিতে তিনিও সামিল ছিলেন যুব কংগ্রেসের মহাকরণ অভিযানে। কমিশনের সামনে তিনি বলেছেন, সেদিনের অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল মহাকরণ অবরুদ্ধ করে দেওয়া। তবে পুলিসের গুলিচালনা ও ১৩ জনের মৃত্যু তাঁর চোখের সামনে ঘটেনি বলে জানান তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। একথা তিনি পরে জানতে পারেন বলে কমিশনে জানিয়েছেন সুব্রতবাবু। তিনি আরও বলেন, রাজ্যে সরকার যে পরিবর্তন হবে এমন কথা তিনি ভাবেননি। এবং কখনও যে ২১ জুলাইয়ের ওই ঘটনার তদন্তে কমিশন গঠিত হবে এমনটাও ভাবেননি বলে জানিয়েছেন তিনি। তাই কোনও নথি রাখার চেষ্টা তিনি করেননি বলে কমিশনে স্বীকার করে নেন সুব্রতবাবু। উনিশ বছর আগে ওই ঘটনার জন্য দায়ী কারা, কী কারণে এবং কেন সেদিন গুলি চলেছিল তা তদন্ত করে দেখছে কমিশন। কারা গুলিচালনার নির্দেশ দিয়েছিল এই বিষয়টিও কমিশনের কাছে তদন্তসাপেক্ষ। তত্‍কালীন পুলিস কমিশনার সহ পুলিস-প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাব্যক্তিদের আগামিদিনে স্বাক্ষ্য দিতে ডেকে পাঠাতে পারে কমিশন। ডাকা হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতাদেরও।    
 

.