চিকিৎসায় সামান্য সাড়া সুচিত্রার। অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও স্থিতিশীল। জানালেন চিকিৎসক সুব্রত মৈত্র

সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক বলে সর্বশেষ মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে।

Updated By: Jan 11, 2014, 08:19 PM IST

৭টা ৩০: ঘুম পাড়িয়ে রাখা রয়েছে সুচিত্রা সেনকে। টিউবের সাহায্যে তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।

৭টা ০৮: চকিৎসায় সামান্য সাড়া দিয়েছেন সুচিত্রা সেনের। সঙ্কট থাকলেও এখন একটু স্থিতিশীল। কিডনি, হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ স্বাভাবিক। মহানায়িকাকে দেওয়া হয়েছে জীবনদায়ী ওষুধ।

৭টা ০৫: হাসপাতাল থেকে বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী ও চিকিৎসক সুব্রত মৈত্র।

৬টা ১২: বড় সমস্যার মুখে সুচিত্রা সেন। কফের সঙ্গে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। খোলা হল এনডোট্রাকিয়াল টিউব। চেষ্টা করা হচ্ছে অন্য আপতকালিন ব্যবস্থায়।

৬টা ১০: গত দু'দিন খাবার খেতে পারেননি সুচিত্রা সেন। আজ সকালে তিনি খাবার খেয়েছেন। এনডোট্রাকিয়াল টিউব লাগানোয় পরিস্থিতির একটু উন্নতি হয়। দেওয়া হয় জীবনদায়ী ওষুধ।

সন্ধে ৬টা: হাসপাতালে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী।

৫টা ৪০: বেলুড় মঠ থেকে সুচিত্রা সেনকে দেখতে মহারাজদের প্রতিনিধি দল এল হাসপাতালে।

৫টা ৩৫: সারে ৩টের পর থেকে সঙ্কটে মাহানায়িকা। সাকশনের করে বুকের কফ বের করা হচ্ছে। হঠাৎ করে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে যায়।

৫টা ৩০: নবান্ন থেকে সোজা হাসপাতালে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

বিকেল ৫টা:

সুচিত্রা সেনের অবস্থা অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়েছে, সমস্যা রয়েছে হৃদযন্ত্রেরও। লাগানো হয়েছে এনডোট্রাকিয়াল টিউব। সাকশনের জন্য লাগানো হয়েছে এটি। মহানায়িকার শারীরিক অবস্থার অবনতির ফলে জরুরী বৈঠকে বসেছে মেডিক্যাল বোর্ড।

দুপুর ২টো:

সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক

সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক বলে সর্বশেষ মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে।

মেডিক্যাল বুলেটিন দুপুর ১টা ৩০--

রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ সামান্য বেড়েছে। কোনও খাবার দেওয়া যাচ্ছে না মহানায়িকাকে। রাত থেকে চলছে স্যালাইন। ফিজিওথেরাপি নিতে পারছেন না মহানায়িকা। তাঁকে নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। তবে আজ সকালে জ্বর আসেনি মহানায়িকার। নতুন করে তাঁর শরীরে কোনও সংক্রমণ নেই বলেও জানিয়েছেন চিকিত্সক সুব্রত মৈত্র।

গতকাল রাত সাড়ে ৯টার মেডিক্যাল বুলেটিন

দুপুর, বিকেলের দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় সঙ্কট তৈরি হলেও অক্সিজেন দেওয়ায় আপাতত স্থিতিশীল তিনি। ফুসফুসের সংক্রমণের প্রভাবে স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তাঁর। ইনটেনসিভ চেস্ট ফিজিওথেরাপি চলছে তাঁর। নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। তবে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ ঠিকঠাক কাজ করছে তাঁর।

বেলা ১টার মেডিক্যাল বুলেটিন:

আপাতত স্থিতিশীল মহানায়িকা। তাঁকে কৃত্রিমভাবে দেওয়া হচ্ছে অক্সিজেন। শরীরে অক্সিজেনের চাহিদা রয়েছে। হার্টের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে, হালকা খাবারও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। খাবার নিতে পারছেন তিনি। নন ইনভেনসিভ ভেন্টিলেশন চলছে সুচিত্রাএ। চলছে নেবুলাইজেশন, ফিজিওথেরাপি।

দেখে নেওয়া যাক কাল সকালে কেমন ছিলেন মহানায়িকা:

চিকিত্‍সায় বিশেষ সাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি। স্বাভাবিক ভাবে খাওয়া দাওয়াও করছেন না। ফুসফুসের সংক্রমণের প্রভাবে স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তাঁর। ডাক্তাররা ফিজিওথেরাপির উপর জোর দিচ্ছেন। ইনটেনসিভ চেস্ট ফিজিওথেরাপি চলছে তাঁর। নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে।

গত ৯ জানুয়ারি থেকেই মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছিল তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। মহানায়িকাকে দেখতে নার্সিংহোমে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। প্রায় এক ঘণ্টা তিনি ছিলেন সেখানে।

বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাঁকে নেবুলাইজেশন দেওয়া হয়। চালু করা হয় নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন। রাতের দিকে কিছুটা ধাতস্থ হন সুচিত্রা সেন। মহানায়িকার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিত্সকেরা। শ্বাসকষ্টের সমস্যা এখনও পুরোপুরি সারেনি। তাই মাঝে মধ্যেই নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনের সাহায্যে তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।

ফুসফুসে জমে থাকা কফ বের করার জন্য কাল থেকে চালু করা হয়েছে ইনটেনসিভ চেস্ট ফিজিওথেরাপি। অর্থাত্ ভাইব্রেটরের সাহায্যে ফুসফুসে জমে থাকা কফ বের করে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। নিউট্রিশনিস্টের পরামর্শ মতো সুচিত্রা সেনকে নরম খাবার দেওয়া হচ্ছে। তবে মুখে কিছুই প্রায় তুলছেন না তিনি। এ জন্য কাহিল হয়ে পড়ছেন মহানায়িকা। তাঁর ক্যালোরি যুক্ত খাবার প্রয়োজন। জানিয়েছেন তাঁর চিকিত্সকেরা। সুচিত্রা সেনের মেডিক্যাল বোর্ডে কাল থেকে ফুসফুস সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ দুই চিকিত্সককে আনা হয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। সব মিলিয়ে মহানায়িকা এখনও সঙ্কটমুক্ত নন বলেই মনে করছেন চিকিত্সকেরা।

.