নোটের আকালে বেরঙিন রোববারের বাজার
দোকানির ঝুড়ি থেকে উঁকি দিচ্ছে শীতের সবজি। মাছ বাজারে পা নাড়ছে সাদা চিংড়ি। জলে পাখনা খেলাচ্ছে রুপোলি রুই। কিন্তু বাসনা থাকলেও, আজ রসনা মেটানোর উপায় নেই। নোটের আকালে বেরঙিন রোববারের বাজার।
ওয়েব ডেস্ক: দোকানির ঝুড়ি থেকে উঁকি দিচ্ছে শীতের সবজি। মাছ বাজারে পা নাড়ছে সাদা চিংড়ি। জলে পাখনা খেলাচ্ছে রুপোলি রুই। কিন্তু বাসনা থাকলেও, আজ রসনা মেটানোর উপায় নেই। নোটের আকালে বেরঙিন রোববারের বাজার।
রোববার আর বাঙালির বাজার, একেবারে মধুরে মধুর যুগলবন্দি। শীতের সঙ্গে নলেন গুড়ের যেমন সম্পর্ক, রবিবারের সঙ্গে বাঙালির বাজার করার সম্পর্কটাও ঠিক তেমনই। কিন্তু নোট সঙ্কটের জেরে সম্পর্কের সেই ম্যাজিক উধাও।
ঝুড়ি থেকে উঁকি দিচ্ছে শীতের চিকণ সবজি। হেমন্তের হিম মাখা লাল শাক, পাতা বিছিয়ে চেয়ে থাকা ফুলকপি, নধর বেগুন, আরও কত কী! রসনা তৃপ্তির পসরা অনেক। কিন্তু কিনবে কে!
টানাটানির বাজারে বড় ভূমিকা নিচ্ছে ক্রেতার সঙ্গে বিক্রেতার ব্যক্তিগত সম্পর্ক। রোববার মানেই আর পাচদিনের থেকে একটু জমিয়ে খাওয়া। সেই বিলাসিতা উধাও। সময় কাটছে ব্যাঙ্কে লাইন দিয়ে। পকেট গড়ের মাঠ। রোববারের ছুটিতে সারা সপ্তাহের বাজার দূরের কথা নোটের আকালে দিনের বাজার করাটাই চ্যালেঞ্জ।
পুরনো পাচশো আর হাজারের নোট দেহ রাখার পর থেকে এভাবেই গোঁত্তা খাচ্ছে বাঙালির বাজার। খুচরোর আকালে সঞ্চয়ের প্রবণতা এখন অতীত। বাঙালি এখন দিন এনে দিন খাওয়া পাবলিক।