আজ দিকশূন্যপুরে বিলীন হল নীললোহিতের ডিঙা
মানুষের সঙ্গে জীবনের পরতে পরতে কাটানো অভিজ্ঞতা থেকেই সংগ্রহ করতেন তাঁর অনন্য সাহিত্য, কবিতা সৃষ্টির রসদ। তাঁর শেষ যাত্রায় সেই সাধারণ মানুষের আবেগ যেন ভেঙে পড়ল। বিশিষ্ট সাহিত্যিক তথা কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে, ভালবাসার ঝুলি উজাড় করে দিলেন আজীবন মানুষকে ভালবেসেছেন। চেষ্টা করতেন মানুষের সঙ্গে থাকার। মানুষের সঙ্গে জীবনের পরতে পরতে কাটানো অভিজ্ঞতা থেকেই সংগ্রহ করতেন তাঁর অনন্য সাহিত্য, কবিতা সৃষ্টির রসদ। তাঁর শেষ যাত্রায় সেই সাধারণ মানুষের আবেগ যেন ভেঙে পড়ল। বিশিষ্ট সাহিত্যিক তথা কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ভালবাসার ঝুলি উজাড় করে দিলেন কবির গুনমুগ্ধ পাঠকরা।
মানুষের সঙ্গে জীবনের পরতে পরতে কাটানো অভিজ্ঞতা থেকেই সংগ্রহ করতেন তাঁর অনন্য সাহিত্য, কবিতা সৃষ্টির রসদ। তাঁর শেষ যাত্রায় সেই সাধারণ মানুষের আবেগ যেন ভেঙে পড়ল। বিশিষ্ট সাহিত্যিক তথা কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে, ভালবাসার ঝুলি উজাড় করে দিলেন আজীবন মানুষকে ভালবেসেছেন। চেষ্টা করতেন মানুষের সঙ্গে থাকার। মানুষের সঙ্গে জীবনের পরতে পরতে কাটানো অভিজ্ঞতা থেকেই সংগ্রহ করতেন তাঁর অনন্য সাহিত্য, কবিতা সৃষ্টির রসদ। তাঁর শেষ যাত্রায় সেই সাধারণ মানুষের আবেগ যেন ভেঙে পড়ল। বিশিষ্ট সাহিত্যিক তথা কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ভালবাসার ঝুলি উজাড় করে দিলেন কবির গুনমুগ্ধ পাঠকরা।
বৃহস্পতিবার সকালে পিস হাভেনের বাইরের ভিড়ই জানান দিচ্ছিল কবিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামবে। আনন্দবাজার পত্রিকার দফতর হয়ে শববাহী শকট রবীন্দ্রসদনে পৌঁছনোর পর সেই ছবিটাই বাস্তব রূপ পেল। প্রায় একঘণ্টার বেশি সময় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নিথর দেহ শায়িত ছিল সেখানে। একে একে যখন রাজনীতিক, কবি, সাহিত্যিকসহ বিশিষ্টজনেরা শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, তখন বাইরে লম্বা লাইনে অপেক্ষমান অগুনতি সাধারণ মানুষ।
আক্ষরিক অর্থেই বাংলা সাহিত্যের একটি যুগের নাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তাই তাঁর মৃত্যুতে বাস্তবিকই শেষ হল সেই যুগের। গত শতাব্দীর ছয়ের দশকের হাংরি জেনারেশনের পৃষ্ঠপোষক থেকে আটের দশকের অস্থির সময়। পরবর্তী আরও তিন দশকেও সুনীলের সাহিত্যে হাজারো নতুন বাঁক। তিনি চলে গেলেন ঠিকই, রেখে গেলেন অর্ধশতাব্দীর অনন্য দলিল, যার সাহিত্যমূল্য আবিষ্কর করে বিস্মিত হবে পরবর্তী অনেক প্রজন্মই। পরবর্তী অনেক প্রজন্মই। জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুরে। স্বাধীনতার সময় বয়স তেরো। খুব কাছ থেকে অনুভব করেছেন দেশভাগের যন্ত্রণা।
১৯৪৬-৪৭ দাঙ্গায় তাঁর মন বিধ্বস্ত। শুরু হয় তাঁর লেখালেখি। কবিতাই প্রথম প্রেম। কিছুটা কল্লোলের কবিদের মতন করে রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করে এগোনর চেষ্টা। কৃত্তিবাস হল সেই স্ফুলিঙ্গ ছড়ানোর প্ল্যাটফর্ম। ছয়ের দশকে মলয় রায়চৌধুরী, সমীর রায়চৌধুরী নেতৃত্বে যে ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা হয়েছিল সেখানেও সুনীল। নকশাল আন্দোলনে উত্তাল সাতের দশক। সেই উত্তাল সময়েও স্বতন্ত্র সুনীল। তখন তিনি দাঁড়াও সুন্দর বা মন ভালো নেই-এর মতো কাব্যগ্রন্থ লিখছেন।