জবাব চাই, আমাদের না দিলেও রাজ্যবাসীকে দিতে হবে: সূর্যকান্ত
নতুন সরকারের সময় রাজ্য পিছনের দিকে হাঁটছে। একবছর পূর্তির প্রাক্কালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে এই ভাষাতেই সরকারকে বিঁধল বিরোধী বামেরা। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, সাতের দশকের চেয়েও ভয়ঙ্কর অবস্থার দিকে যাচ্ছে রাজ্য।
নতুন সরকারের সময় রাজ্য পিছনের দিকে হাঁটছে। একবছর পূর্তির প্রাক্কালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে এই ভাষাতেই সরকারকে বিঁধল বিরোধী বামেরা। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, সাতের দশকের চেয়েও ভয়ঙ্কর অবস্থার দিকে যাচ্ছে রাজ্য।
২০ মে একবছর পূর্ণ করবে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ইতিমধ্যেই সরকার ৯০ শতাংশ কাজ করে ফেলেছে। সরকারের সাফল্যের দাবিকে পাল্টা কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেন, "রাজ্যে মানুষের অর্জিত অধিকারের ওপর আঘাত আসছে। রাজ্যকে চৌত্রিশ বছর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে এই সরকার।"
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বলেছেন মাওবাদী সমস্যার সমাধান করেছে তাঁর সরকার। এপ্রশ্নেও মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছেন বিরোধী দলনেতা। বলেন, "বিরোধিতায় থাকাকালে জঙ্গলমহল থেকে যৌথবাহিনী প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখন সেখানে গেলে তাঁকে সেই যৌথবাহিনীর পাহারাতেই থাকতে হয়।"
বিরোধী আসনে বসে রাজ্যে সন্ত্রাস ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি সরব হয় বামেরা। রাজনৈতিক সন্ত্রাস সহ একাধিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে বহু চিঠি লিখেছেন সূর্যবাবুরা। কিন্তু একটি চিঠিরও জবাব দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসমস্ত চিঠি, স্মারকলিপি নিয়ে শুক্রবার একটি বই প্রকাশ করে বাম পরিষদীয় দল। বইয়ের নাম জবাব মেলেনি। বিরোধী দলনেতা বলেন, "জবাব পাইনি। কিন্তু জবাব চাই। জবাব দিতেই হবে। আমাদের না-দিন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে দিতে হবে।"
একইসঙ্গে বামেদের বক্তব্য সরকারের ছিদ্রান্বেষণে না গিয়ে গঠনমূলক বিরোধিতার অবস্থানে থাকবে তারা।