টিকাকরণ সম্পূর্ণ হলেই ভোট, BJP-কে অনুসরণ করে বিধায়ককে মুখ্যমন্ত্রী করুন: Suvendu
রাজ্যে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলেও স্মরণ করিয়ে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে প্রাপ্তবয়স্ক সকলের টিকাকরণ সম্পূর্ণ না হলে উপনির্বাচন করা উচিত নয়। শুক্রবার ফের একথা বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, উত্তরাখণ্ডে বিজেপির সিদ্ধান্তকে অনুসরণ করা উচিত তৃণমূলের। দলের বিধায়কদের মধ্যে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক।
এ দিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,'দলগতভাবে যা ভাবনা তা মুখপাত্ররা বলেছেন। আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। সেজন্য গতকাল অগাস্ট মাস জুড়ে আংশিক লকডাউন চালিয়ে যেতে বলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্যের নির্দেশিকা অনুযায়ী ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত চলবে বিধিনিষেধ। খালি হলের মধ্যে ৫০ শতাংশ আসন নিয়ে সরকারি অনুষ্ঠানে ছাড় দেওয়া হয়েছে। রাত ৯টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকছে। স্কুল, কলেজ খোলা যাবে না। ধর্মীয় শোভাযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে রাজ্য সরকারই তো স্বীকার করে নিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতি এখনও রয়েছে।'
রাজ্যে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলেও স্মরণ করিয়ে দেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন,'রাজ্য সরকার নিজেই বলছে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করা যাবে না। তাহলে ভোট কীভাবে হবে? নির্বাচন মানে তো রাজনৈতিক দলগুলির অংশগ্রহণ। নেতানেত্রীদের প্রচার। সেটাই নিয়ন্ত্রিত থাকলে বলতে হয় নির্বাচন বা উপনির্বাচনের পরিবেশ নেই। তা তো বলছে সরকারি নির্দেশিকা। আমি মনে করি, ১৮ উর্ধ্বে ব্যক্তিদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত জনস্বার্থে উপনির্বাচন বা নির্বাচন করা উচিত নয়। এটা আগেও বলেছি।'
নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ায় ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। সে কথা স্মরণ করিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,'নন্দীগ্রামের জনগণ অবিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীকে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়েছেন। তাঁকে নিয়ে চিন্তিত হতে পারে তৃণমূল। তাদের বলব বিজেপিকে অনুসরণ করুন। কিছু দিন আগে উত্তরখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অবিধায়ককে সরিয়ে বিধায়ককে আনা হয়েছে। নির্বাচনের সময় মাদ্রাজ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছিল তৃণমূল। বলেছিল, বিজেপির বহিরাগত প্রচারক ও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা করোনা ছড়িয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের উচিত টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ভোট দাবি করা। ওদের অনেক বিধায়ক আছেন। তাঁদের মধ্যে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করুন।'
বাংলায় করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমে যাওয়ায় শীঘ্রই উপনির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপনির্বাচনের দাবিতে দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচনে কমিশনেও গিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তবে এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে ভোট চায় না বিজেপি। উপনির্বাচন কেন্দ্রগুলিতে প্রস্তুতির জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন-Mukul-র MLA পদ খারিজে দ্বিতীয় শুনানিতে Suvendu, দ্রুত নিষ্পত্তিতে যাচ্ছেন আদালতে