তৃণমূলের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকেই গরহাজির শুভেন্দু, জোর জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে

রাজ্য সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে জেলায় সব নেতা-কর্মী সমান। সভপতি কিংবা কো-অর্ডিনেটর কেউ-ই জেলায় একক ক্ষমতাবান নয়।

Reported By: কমলিকা সেনগুপ্ত | Edited By: অধীর রায় | Updated By: Jul 31, 2020, 07:51 PM IST
তৃণমূলের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকেই গরহাজির শুভেন্দু, জোর জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে
ফাইল ফোটো

নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃণমূলের রাজ্য সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকেই গরহাজির রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর মত দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য এই বৈঠকে হাজির না থাকায় তাঁর অসন্তোষ নিয়ে দলের মধ্যে যে জল্পনা রয়েছে সেটাই আরও একবার উসকে দিল। এদিনের বৈঠকে শুভেন্দু সহ ৪ জন নেতা অনুপস্থিত ছিলেন। যদিও দলের তরফ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, যারা বৈঠকে থাকতে পারবেন না তাঁরা  দলকে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

২০২১-এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে সম্প্রতি বড়সড় সাংগঠনিক রদবদল করেছেন। সেই রদবদলে ২১ জনের একটি রাজ্য সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে প্রতিটি জেলার নেতা-কর্মীর মধ্যে সার্বিক সমন্বয় তৈরি করা এবং জেলা সংক্রান্ত যেকোনও সিদ্ধান্ত নেবে এই কমিটি। দলনেত্রী কমিটি গঠন করে দেওয়ার পর শুক্রবার এই কমিটির প্রথম বৈঠক ছিল।

শুক্রবার রাজ্য সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে জেলায় সব নেতা-কর্মী সমান। সভপতি কিংবা কো-অর্ডিনেটর কেউ-ই জেলায় একক ক্ষমতাবান নয়। জেলার সাংগঠনিক কাজকর্ম কীভাবে চালানো উচিত, জেলার নেতাদের কাছে সেই পরমার্শ  চাওয়া হবে। প্রতি ১৫ দিন অন্তর এই বৈঠক হবে। জেলার সভাপতি এবং কো-অর্ডিনেটর সবার সাথে সুসম্পর্ক রেখে কাজ করে এই সমন্বয় কমিটির কাছে রিপোর্ট পাঠাবে। তারপর জেলা সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত নেবে এই সমন্বয় কমিটি।

পাশাপাশি, এদিন ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলেন। দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র এবং তাঁর ভাই প্রশান্ত মিত্র বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে ফিরে এলেন। উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে এবং অর্পিতা ঘোষের সঙ্গে বিরোধের জেরেই দল ছেড়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের দাপুটে নেতা বিপ্লব মিত্র। তাঁর ভাই প্রশান্ত মিত্র তখন ছিলেন গঙ্গারামপুরের পুরপ্রধান। সূত্রের খবর, দক্ষিণ দিনাজপুরের পর্যবেক্ষক পদ থেকে অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে দেওয়ার পরই দলে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন বিপ্লব মিত্র।

আরও পড়ুন, 'ছোড়দা' প্রয়াত, পরবর্তী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে? উত্তর খুঁজতে নাজেহাল হাইকমান্ড

.