কাশীপুরের তৃণমূল নেতা স্বপন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ

স্বপন চক্রবর্তী। কাশীপুর বরানগর এলাকায়  তৃণমূল সেবাদলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এখনও তৃণমূলের সেবাদলের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দিয়ে রীতিমতো এলাকাজুড়ে জুলুম চালাচ্ছেন স্বপনবাবু। অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকেই  এলাকায় প্রোমোটিং সহ একাধিক অবৈধ ব্যবসা চালান তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। দলের মহিলা কর্মীদের সামনের সারিতে রেখে একের পর এক জমি জবরদখল করারও অভিযোগ উঠেছে স্বপন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।

Updated By: Mar 19, 2013, 10:06 AM IST

স্বপন চক্রবর্তী। কাশীপুর বরানগর এলাকায়  তৃণমূল সেবাদলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এখনও তৃণমূলের সেবাদলের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দিয়ে রীতিমতো এলাকাজুড়ে জুলুম চালাচ্ছেন স্বপনবাবু। অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকেই  এলাকায় প্রোমোটিং সহ একাধিক অবৈধ ব্যবসা চালান তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। দলের মহিলা কর্মীদের সামনের সারিতে রেখে একের পর এক জমি জবরদখল করারও অভিযোগ উঠেছে স্বপন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।
স্বপনবাবুর দখলের তালিকা থেকে বাদ যায়নি সরকারি সম্পত্তিও। বরানগরের কাশী দত্ত লেনের ফুটপাথ দখল করেন ম্যারাপ বেঁধে মহিলা কর্মীদের জন্য রাতিমতো বসার জায়গা তৈরি করেছেন স্বপন চক্রবর্তী। হাইকোর্টের আইনজীবী অনুপম ভট্টাচার্যের অভিযোগ,  বরানগর কাশীপুর এলাকায় তাঁদের বসতবাড়ি লাগোয়া জমিতেও নজর পরে স্বপন চক্রবর্তীর। বাড়ি লাগোয়া এই জমিতে একসময়ে সংস্কৃতের টোল চালাতেন অনুপমবাবু ঠাকুর্দা। এখন জমিটি ফাঁকা পড়ে থাকায় বহিরাগতদের নিয়ে দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন স্বপন। বাধা দেওয়ায় গত বছর চোদ্দই মে থেকে বাড়িছাড়া। 
কখনও বাড়িতে ভাঙচুর, কখনও রাস্তায় হেনস্থা,  কখনও আবার বাড়ি ঘেরাও করে প্রাণনাশের হুমকি। চোদ্দেই মে, দুহাজার বারো, পরিস্থিতি চরমে পৌঁছোলে বাড়িতে ঢুকতে পারেননা পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য। ঘটনার পর থেকেই প্রায় একবছর এলাকাছাড়া তাঁরা। পরিবারের যাঁরা বাড়িতে আছেন তাঁদেরও দুর্গতির শেষ নেই।  বাজার পত্র বন্ধ, কার্যত বাড়িবন্দী হয়েই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। তবে এখানেই শেষ নয়। স্বপন চক্রবর্তীর কুকীর্তির তালিকাটা আরও দীর্ঘ। তৃণমূলের এই দাপুটে নেতার বিরুদ্ধে সাতটি ফোজদারি মামলা চলছে। তবে কাশিপুর থানার পুলিসের সঙ্গে রীতিমতো যোগসাজশেই চলছে এই কারবার। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে অভিযোগকারীদের।
 

.