তপন শিকদারের শেষযাত্রায় সরকারের চূড়ান্ত রাজনৈতিক অসৌজন্য
তপন শিকদারের শেষযাত্রায় সরকারের চূড়ান্ত রাজনৈতিক অসৌজন্য
তপন শিকদারের শেষযাত্রা সাক্ষী হয়ে রইল রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত রাজনৈতিক অসৌজন্যের। আজ নিমতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বিজেপি নেতার। তাঁকে শ্রদ্ধা জানান সিপিআইএম, কংগ্রেস সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা। ব্যতিক্রম শুধু রাজ্যের শাসক দল। নাইটদের সংবর্ধনায় ব্যস্ত রাজ্য সরকার কোনও প্রতিনিধিই পাঠায়নি শেষযাত্রায়। পাঠানো হয়নি শোকবার্তাটুকুও।
একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিক। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবুও তাঁর শেষযাত্রায় নূন্যতম রাজনৈতিক সৌজন্যটুকুও দেখাল না রাজ্য সরকার। শাসক দলের চূড়ান্ত অসৌজন্যের সাক্ষী থেকেই মঙ্গলবার শেষকৃত্য হয়ে গেল তপন শিকদারের।
গিয়েছিলেন সিপিআইএম নেতারা। শ্রদ্ধা জানানো হয় কংগ্রেস, পিডিএস সহ আরও একাধিক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। শোকবার্তা পাঠান রাজ্যপালও। শুধু শাসক দল ও সরকারের তরফে কেউ শোকযাত্রায় হাজির হওয়ার সময় পাননি। সবাই মহাব্যস্ত ছিলেন ইডেনে নাইট রাইডার্সকে সংবর্ধনা দিতে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সোয়া আটটায় পিস হাভেন থেকে শুরু হয়েছিল তপন শিকদারের শেষযাত্রা। প্রথমে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় মালদা সম্মিলনীতে। নিজের উদ্যোগে মালদাবাসীর জন্য এই জায়গা তৈরি করেছিলেন তপন শিকদার।
সকাল নটা নাগাদ ভূপেন বোস অ্যাভিনিউতে দেহ পৌছতেই এক লহমায় বদলে যায় এলাকার ছবিটা। এখানেই জীবনের একটা বড় অংশ কাটিয়েছিলেন তপন শিকদার।
তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিচারপতি শ্যামল সেনও। তাঁর স্মৃতিচারণায় উঠে আসে দুজনের ব্যক্তিগত সম্পর্কের বহু অজানা কথা।
এরপর মরদেহ পৌছয় বিজেপির রাজ্য দফতরে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা। মঙ্গলবারই দিল্লিতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা গোপীনাথ মুণ্ডের। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দলমতনির্বিশেষে হাজির হয়েছিলেন বেশিরভাগ দলের প্রতিনিধিরা। তাঁর মৃত্যুতে শোকবার্তাও পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর নিজের রাজ্যেই প্রবীণ বিজেপি নেতার শেষ যাত্রার ক্ষেত্রে চরম অসৌজন্য দেখা গেল।