৭ মে থেকে ৭২ ঘণ্টার ধর্মধটে যাচ্ছে সবকটি ট্যাক্সি ইউনিয়ন
প্রতিকী ধর্মঘটের দিন পরিবহণমন্ত্রীর হুমকির পরও মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ৭২ ঘণ্টার ট্যাক্সি ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় রইল মালিকপক্ষ। শুক্রবার বিকেলে বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, ১২ দফা দাবিতে ১৯ এপ্রিলের প্রতিকী ধর্মঘটের পরও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সাড়া মেলেনি।
প্রতিকী ধর্মঘটের দিন পরিবহণমন্ত্রীর হুমকির পরও মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ৭২ ঘণ্টার ট্যাক্সি ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় রইল মালিকপক্ষ। শুক্রবার বিকেলে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, ১২ দফা দাবিতে ১৯ এপ্রিলের প্রতিকী ধর্মঘটের পরও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সাড়া মেলেনি। ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটেও কাজ না হলে লাগাতার ধর্মঘটে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে সবকটি ট্যাক্সি ইউনিয়ন।
অন্যদিকে ১২ দফা দাবিতে একদিনের প্রতীকী ট্যাক্সি ধর্মঘট চলাকালীন গত ১৯ এপ্রিল পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র হুমকি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ধর্মঘটের পথ না ছাড়লে ট্যাক্সিচালক ও মালিকদের বিরুদ্ধে অনমনীয় মনোভাব নেবে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। সেই হুমকিতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত না করেই এবার ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের পথে শহরের প্রায় সবকটি ট্যাক্সি সংগঠন। মূলত যে দাবিগুলিতে ১৯ তারিখ ধর্মঘট হয়েছিল সেগুলি হল:
১) অবিলম্বে ট্যাক্সির ভাড়া বৃদ্ধি
২) পুলিসি জুলুম ও হয়রানি বন্ধ করা
৩) ট্যাক্সিতে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে আয় বৃদ্ধির অনুমতি
৪) ২০ শতাংশ নাইট সার্ভিস সারচার্জ চালু করা
৫) দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে আইপিসি ৩০২ ধারা বিলোপ
৬) ৪ এর বদলে ৫ যাত্রী বহনের অনুমতি
৭) সরকারি উদ্যোগে ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্র চালু
৮) প্রাইভেট গাড়ির শাটল খাটা বন্ধ করা
৯) সরকারি উদ্যোগে প্রি-পেড ট্যাক্সি স্ট্যান্ড
এবং
১০) ডাক বিভাগের মাধ্যমে পাঠানো লাইসেন্সে হয়রানি বন্ধ করা।
প্রতিকী ধর্মঘটের পর ২৩ তারিখ ১০টির মধ্যে ২টি দাবি আংশিকভাবে মেনে নেয় পরিবহণ দফতর। প্রথমত, নাইট সার্ভিস সারচার্জ চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দ্বিতীয়ত, হাওড়া ও শিয়ালদা ছাড়াও শহরের আরও ১০ জায়গায় সরকারি প্রি পেড ট্যাক্সি বুথ চালুর সিদ্ধান্ত হয়। এখানেও আপত্তি রয়েছে ইউনিয়নগুলির। তাদের অভিযোগ, প্রথমত, রাত ৮ টা থেকে পরদিন ভোর ৫ টা পর্যন্ত ২০ শতাংশ অতিরিক্ত নাইট সার্ভিস সারচার্জ চালুর দাবি ছিল। তার বদলে রাত সাড়ে ১০ টা থেকে ভোর ৪ টে পর্যন্ত ১৫ শতাংশ সারচার্জ বসানো হচ্ছে। শহরের ৩৩ হাজার ট্যাক্সির মধ্যে প্রস্তাবিত ওই সময়সীমায় ট্যাক্সি চলে মাত্র ৫ শতাংশ। দ্বিতীয়ত, রাজ্য সরকার ট্যাক্সি অন কল পরিষেবা চালুর ঘোষণা করলেও তা করা হয়েছে একতরফাভাবে। মালিকদের সঙ্গে আলোচনা না করেই। ফলে বাড়িতে ট্যাক্সি পৌঁছে গেলে অতিরিক্ত কত সার্ভিস চার্জ দিতে হবে তা নির্ধারণ করা হয়নি। ফলে ৭ই মে থেকে শহরের ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটে নামছেন সবকটি ট্যাক্সি ইউনিয়ন। তাতেও কাজ না হলে ২১শে মে থেকে লাগাতার ধর্মঘটের পথে হাঁটতে চলেছেন তাঁরা।