টেটের লিস্ট `অ্যানালিসিস` হয় তৃণমূল ভবনে। কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেছেন মমতা মণ্ডল নামে কুলপির এক পরীক্ষার্থী। তিনি ও তাঁর স্বামী প্রদীপ মণ্ডল দুজনেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য দলেরই ওপরমহল থেকে চাপ দেওয়া হয় তাঁদের। মমতা মণ্ডল

Updated By: Jan 25, 2014, 05:39 PM IST

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেছেন মমতা মণ্ডল নামে কুলপির এক পরীক্ষার্থী। তিনি ও তাঁর স্বামী প্রদীপ মণ্ডল দুজনেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য দলেরই ওপরমহল থেকে চাপ দেওয়া হয় তাঁদের।

মমতা মণ্ডল
কুলপি পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য
কুলপির রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা

২০১৩-র ৩১ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় বসেন মমতা মণ্ডল। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করার পর ১৪ ডিসেম্বর হেস্টিংসের পিটিটিআই কলেজে ইন্টারভিউ দিতে যান তিনি। কিন্তু, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি সুরঞ্জনা চক্রবর্তী তাঁর অ্যাডমিট কার্ডে ক্যানসেল লিখে ইন্টারভিউ বাতিল করে দেন। কারণ হিসাবে বলা হয়, অ্যাডিশনাল সাবজেক্ট বাদ দিয়ে মমতা মণ্ডল উচ্চ-মাধ্যমিকে ৪৩.৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন।

এসসি ক্যাটিগরির জন্য টেটে বসার নূন্যতম নম্বর ৪৫ শতাংশ হওয়ায় মমতা মণ্ডলের পরীক্ষায় বসার যোগ্যতা নেই। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গত ৭ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন মমতা মণ্ডল। অভিযোগ, এরপরই আসরে নামেন তৃণমূলের ওপর মহলের নেতারা। মমতা মণ্ডলের স্বামী প্রদীপ মণ্ডল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কুলপি ব্লক সভাপতি। নিজের দলের নেতারাই তাঁকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। প্রদীপ মণ্ডলের বক্তব্য, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি সুরঞ্জনা চক্রবর্তী যোগাযোগ করেন তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের সঙ্গে। তাঁকে সুরঞ্জনা চক্রবর্তী জানান, তিনি প্রদীপ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী মমতা মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে চান। যোগরঞ্জন হালদার ও জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য নিরঞ্জন মাঝি প্রদীপবাবুকে ফোন করে সে কথা জানান। ১৬ জানুয়ারিস্ত্রী-কে ছাড়াই বালিগঞ্জে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে যান প্রদীপ মণ্ডল। দেখা করেন সুরঞ্জনা চক্রবর্তীর সঙ্গে।

.