স্বাস্থ্যসাথী কার্ডেও কাজ হল না, মুমূর্ষু রোগীকে ফেরাল শহরের ৩ হাসপাতাল
এরপর নিউ আলিপুরের বি পি পোদ্দার নার্সিংহোমে গেলে ডাক্তারের অভাবের কথা বলে কর্তৃপক্ষ। ফের খালি হাতেই ফিরতে হয় তরুণীর পরিবারকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারিতেও যেন টনক নড়ছে না। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে হয়রানির ছবি সেই একই। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও আবারও মুমূর্ষু রোগীকে ফেরাল হাসপাতাল। কিডনি ইনফেকশনে ভোগা তরুণীকে নিয়ে তিন জায়গায় ঘুরতে হল পরিবারকে। বুধবার প্রথমে এসএসকেএমে যায় বেহালা পর্ণশ্রীর দাস পরিবার। বেড নেই বলে ফিরিয়ে দেয় এসএসকেএম।
এরপর নিউ আলিপুরের বি পি পোদ্দার নার্সিংহোমে গেলে ডাক্তারের অভাবের কথা বলে কর্তৃপক্ষ। ফের খালি হাতেই ফিরতে হয় তরুণীর পরিবারকে। এরপর যাদবপুরের কেপিসি হাসপাতালে গেলে তারা পরিস্কার জানিয়ে দেয় স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে বরাদ্দ বেড নেই। বাধ্য হয়ে গাঁটের কড়ি খরচ করেই এমার্জেন্সিতে মেয়েকে দেখায় দাস পরিবার। তাঁদের প্রশ্ন, কার্ড থাকা সত্ত্বেও কেন এমন হয়রানির শিকার হতে হল তাদের। যদিও কোনও উত্তর মেলেনি।
আরও পড়ুন: Zee 24 Ghanta-র খবরের জের, রোগী ভর্তি করাতে SSKMএ প্রতিনিধি পাঠালেন Madan Mitra
চলতি সপ্তাহেই এক রোগীকে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখার অভিযোগ ওঠে SSKM-এর বিরুদ্ধে। বেড নেই জানিয়ে খোলা চত্বরেই পড়ে থাকতে হয় রোগীকে। সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পান মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা মাজেরা বিবি। কোমরে নীচের অংশে গুরুতর চোট নিয়ে বহরমপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বচর ৫০-এর মাজেরা বিবিকে। এরপর সেখানের চিকিৎসকরা জানান, বহরমপুর মেডিক্য়াল কলেজে এই চিকিৎসা সম্ভব নয়, দ্রুত sskm-এ নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁকে।
জরুরি বিভাবে মাজেরা বিবির বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করে জানানো হয় তাঁর চোট ভয়াবহ। তবে পাশাপাশি রোগীর পরিবারকে এও জানানো হয় যে, হাসপাতেলে বেড নেই। আর সেই থেকেই প্রায় ৩ দিন ধরে খোলা আকাশের নীচেই পড়ে ছিলেন মাজেরা বিবি। যদিও জি ২৪ ঘণ্টার মাধ্যেমে খবর পেয়ে রোগীর ভর্তির ব্যবস্থা করেন মদন মিত্র। প্রতিনিধি পাঠিয়ে তড়িঘড়ি মাজেরা বিবিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।