রাজ্যের আবেদনে হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল শুনানি, সুপ্রিম কোর্টের ফল দেখেই পদক্ষেপ রাজ্যের
সোমবার যখন রাজীবকাণ্ডে তোলপাড় সুপ্রিম কোর্ট, ঠিক সেই মুহূর্তে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত গড়ায় হাইকোর্টেও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাইকোর্টের চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। সোমবার জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানিয়েছিল রাজ্যই। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রাজ্যই আবার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করল। হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার। যদিও এদিন চিটফান্ড মামলায় ডিজিকে তদন্তে সাহায্য করার নির্দেশ দেয় আদালত।
সুপ্রিম কোর্টে রাজীব কুমার-মামলার শুনানি চলছে মঙ্গলবার। তারপরই রাজ্যের আবেদন শোনার জন্য হাইকোর্টে আর্জি জানাল সরকারি আইনজীবী। বৃহস্পতিবার বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের ঘরে শুনানি।
আরও পড়ুন: ‘পুলিস অফিসারকে বাঁচানো আদৌ লক্ষ্য নয় মমতার, বরং স্বার্থ নিজের’
প্রসঙ্গত, সোমবার যখন রাজীবকাণ্ডে তোলপাড় সুপ্রিম কোর্ট, ঠিক সেই মুহূর্তে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত গড়ায় হাইকোর্টেও। এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি শিবকান্ত শর্মার ঘরে রাজ্য সরকারি আইনজীবী নালিশ করেন, চিটফান্ড সংক্রান্ত একটি মামলায় হাইকোর্ট ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। পরবর্তী শুনানি ও নির্দেশের আগেই কীভাবে সিপি রাজীব কুমারের বাড়িতে যেতে পারে সিবিআই? উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের একটি মামলায় রাজ্যের চার পুলিশ অফিসার—দিলীপ হাজরা, শঙ্কর ভট্টাচার্য, অর্ণব ঘোষ ও প্রভাকর নাথকে হাজিরা দেওয়ার নোটিস পাঠিয়েছিল গত বছর। নোটিস পাঠানোর তারিখ ৩০ নভেম্বর। কিন্তু তাঁদের হাজির হতে বলা হয়েছিল ৬ নভেম্বর। গত ডিসেম্বরে আদালতে বিষয়টি উত্থাপন করা হলে ওই নোটিসে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি প্রসাদ। সম্প্রতি সিপি-কেও অন্য একটি মামলায় নোটিস পাঠায় সিবিআই। কলকাতা পুলিস দাবি করে, ওই নোটিসেও ভুল ছিল। সেক্ষেত্রে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ওই ভুলের কথা উল্লেখ করে বিষয়টি এজি আদালতের দৃষ্টিতে আনে। এরপর আদালত ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই বিষয়ে স্থগিতাদেশ জারি করে।
সিবিআই-এর যুক্তি, রাজ্য যে বিষয়টিকে এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক করতে চাইছে, তার সঙ্গে রবিবার সন্ধ্যায় রাজীব কুুমারের বাড়িতে যাওয়ার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআইয়ের যাওয়া নিয়ে 'নালিশ' জরুরি ভিত্তিতে শোনার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ সোমবার জানিয়ে দেন, রাজ্যের আবেদন আদালতের তালিকায় নেই। আজ শুনানির কথা ছিল। কিন্তু রাজ্যের আবেদনেই পিছিয়ে গেল।