Kolkata Medical College: জট অব্যাহত মেডিক্যাল কলেজে, ঘোষণা করেও অনিশ্চিত মঙ্গলবারের বৈঠক
মঙ্গলবার অনশনের ষষ্ঠ দিন। শনিবার থেকে পাঁচ অনশনকারীর শরীর ভাল যাচ্ছে না। সোমবার ঋতম মুখার্জি নামের এক অনশনকারীর শারীরিক অবস্থার আরও কিছুটা অবনতি হয়। সমবারই তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শত অনুরোধেও তাঁকে মুখ দিয়ে কিছু খাওয়ানো যায়নি। সোমবার এমবিবিএস চতুথ বর্ষের দুই পড়ুয়া সৌমিত দত্ত এবং শুভ সরকার অনশনে যোগ দিয়েছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জট অব্যাহত। ঘোষনা করেও মঙ্গলবার বাতিল বৈঠক। অনশনরত আন্দোলনকারিদের সঙ্গে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনে স্বাস্থ্যকর্তাদের পূর্ব ঘোষিত বৈঠক আজ বাতিল করা হয়েছে। সোমবার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সশরীরে মেডিক্যাল কলেজ গিয়ে বরফ গলাতে পারেননি। তাই মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনের বৈঠকের নির্যাস একই হতে চলেছে, মূলত এই ধারণা থেকেই বৈঠক বাতিল করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দৌত্য ব্যর্থ হওয়ায় মেডিক্যাল ইস্যুতে আপাতত ওয়েট এন্ড ওয়াচ নীতি অবলম্বন করেছে স্বাস্থ্য ভবন। ২২ ডিসেম্বর যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এই বিষয়ে আর কোনও দ্বিধা নেই। আবার ২২ তারিখেই নির্বাচন না হলে, অন্য কোনও শর্তে বরফ গলবে না বলে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার অনশনের ষষ্ঠ দিন। শনিবার থেকে পাঁচ অনশনকারীর শরীর ভাল যাচ্ছে না। সোমবার ঋতম মুখার্জি নামের এক অনশনকারীর শারীরিক অবস্থার আরও কিছুটা অবনতি হয়। সমবারই তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শত অনুরোধেও তাঁকে মুখ দিয়ে কিছু খাওয়ানো যায়নি। সোমবার এমবিবিএস চতুথ বর্ষের দুই পড়ুয়া সৌমিত দত্ত এবং শুভ সরকার অনশনে যোগ দিয়েছেন। অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বরের নির্বাচনের দাবিতে আন্দলনের ঝাঁঝ আরও কিছুটা বাড়িয়েছে ছাত্ররা। তাই মেডিক্যাল জট এই মুহূর্তে পুরোদস্তুর বহাল।
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: লালন-মৃত্যুর তারিখে শুভেন্দুর ডিসেম্বর ধামাকার গন্ধ! চাঞ্চল্যকর দাবি কুণালের
দেড় দিন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ ঘণ্টা পর ওঠে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র বিক্ষোভ। ঘেরাও মুক্ত হন অধ্যক্ষ সহ তেইশজন। নির্বাচনের নির্দেশিকা জারি করতে কর্তৃপক্ষকে সময়সীমা বেঁধে দেন আন্দোলনকারীরা।
ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত সোমবার রাত থেকে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। ছাত্রদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের নির্বাচনের দাবি জানানো হলেও তা মানেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বহু আলোচনার পরে আগামী বাইশ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও নিশ্চয়তা না পেয়ে সোমবার বিক্ষোভে সামিল হয় পড়ুয়ারা। অধ্যক্ষের ঘরের সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ।
আরও পড়ুন: Bhawanipore CBI: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় সিবিআই পরিচয়ে লুঠ? ভবানীপুরে আতঙ্ক
২ ডিসেম্বর ভোটের দিন ঘোষনা করেও কোনও অজ্ঞাত কারণে সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেন কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদেই সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ মেডিক্যাল কলেজ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে অবস্থান শুরু করে। টানা ঘেরাওয়ের জেরে চরম সমস্যায় পড়েন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান এবং প্রশাসনিক কর্তারা। ঘেরাও হয়ে থাকা নার্সিং সুপারের মুক্তির দাবিতে পাল্টা অবস্থানে বসে পড়েন নার্সিং স্টাফরা। কিছুক্ষণ পরেই পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন রোগীর পরিজনরা। সব মিলিয়ে চতুর্মুখী আন্দোলনে উত্তপ্ত হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ।