এই পুলকার চালক নিজে মরে প্রাণ বাঁচালেন ৩০ শিশুর

স্কুলের বাচ্চাদের কিছু হতে দেওয়া যাবে না। দুর্ঘটনার মুহুর্তেও বোধহয় এই চিন্তাই ঘুরছিল বিশ্বনাথ সামন্তের মাথায়। নিজের সামনে সুযোগও হয়ত ছিল, নেমে যাওয়ার। প্রাণ বাঁচানোর। কিন্তু নামেননি।

Updated By: Jun 24, 2016, 08:07 PM IST
এই পুলকার চালক নিজে মরে প্রাণ বাঁচালেন ৩০ শিশুর
ছবিটি প্রতীকী।

ওয়েব ডেস্ক: স্কুলের বাচ্চাদের কিছু হতে দেওয়া যাবে না। দুর্ঘটনার মুহুর্তেও বোধহয় এই চিন্তাই ঘুরছিল বিশ্বনাথ সামন্তের মাথায়। নিজের সামনে সুযোগও হয়ত ছিল, নেমে যাওয়ার। প্রাণ বাঁচানোর। কিন্তু নামেননি।

প্রাণ দিয়ে, প্রাণ-রক্ষা। তিরিশ জন খুদে পড়ুয়ার জীবন বাঁচিয়ে দিয়ে গেলেন পুলকার চালক। যদিও সেই চেষ্টায় নিজের প্রাণটাই খোয়াতে হল বিশ্বনাথ সামন্তকে। আজ সকালে পরমা ফ্লাইওভারের পিলারে ধাক্কা মারে পড়ুয়া বোঝাই পুলকারটি। অল্প চোট-আঘাতে পড়ুয়ারা রক্ষা পেলেও, ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় চালকের।

 
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গাড়ি ততক্ষণে বেকাবু। ভিতরে লোরেটো স্কুলের প্রাইমারি সেকশনের প্রায় তিরিশ জন পড়ুয়া। সেই অবস্থাতেও শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যান বিশ্বনাথ।

পরমা ফ্লাইওভারের নিচে, চার নম্বর ব্রিজের পিলারে গিয়ে গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে। এই ভাবেই গাড়ি কোনওমতে থামিয়ে হয়ত খুদে পড়ুয়াদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন চালক। নিজের জীবন দিয়ে সেই চেষ্টায় সফল তিনি।   

ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চালক বিশ্বনাথ সামন্তের। কমবেশি চোট পেয়েছে পড়ুয়ারাও। তবে প্রাথমিক চিকিত্‍সার পর তাঁদের সবাইকেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দুর্ঘটনায় মৃত গাড়ির চালক বিশ্বনাথের বাড়ি বেলেঘাটায়। এই মৃত্যুতে গোটা পাড়া শোকস্তব্ধ।

ম্যাডক্স স্কোয়ারে যুবক খুনের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার

ফেরা হল না। শূন্যতা বাড়িতে। কিন্তু নিজে জীবন দিয়েই, অনেক মায়ের কোল খালি হওয়া রুখে দিলেন বিশ্বনাথ।

.