রাজ্যসভা উপনির্বাচনে মনোনয়ন পেশ তৃণমূল প্রার্থী জহর সরকারের
৯ অগাস্ট ভোটগ্রহণ, সেদিনই ফলঘোষণা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যবধান দিন চারেকে। রাজ্যসভার তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার হওয়ার পর এবার মনোনয়ন জমা দিলেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার, প্রসার ভারতীর প্রাক্তন অধিকর্তা জহর সরকার। দুপুরে বিধানসভায় গিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়ন জমা দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ।
মাস পাঁচেক আগে আচমকাই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন দীনেশ ত্রিবেদী। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। এবার কে প্রার্থী হবেন? দিল্লি সফরে যাওয়ার প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে ফেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলে তরফে টুইট করে জানানো হয়, 'রাজ্যসভায় আমরা জহর সরকারকে মনোনীত করেছি। প্রায় ৪২ বছর জনসেবায় নিযুক্ত ছিলেন তিনি। জনসেবার তাঁর অবদানকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে'।
We are delighted to nominate Mr. @jawharsircar in the Upper House of the Parliament.
Mr. Sircar spent nearly 42 years in public service & was also the former CEO of Prasar Bharati. His invaluable contribution to public service shall help us serve our country even better!
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) July 24, 2021
প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও, অবসরপ্রাপ্ত এই আইএএস অফিসারের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের সম্পর্ক ভালো বরাবরই। আলাপন ইস্যুতে যখন কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল, তখন প্রাক্তন মুখ্যসচিবের পক্ষ নিয়েছিলেন জহর সরকার। মোদী-শাহ পাগল হয়ে গিয়েছেন বলে টুইট করেছিলেন। রাজ্যসভায় দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে নির্বাচন হবে ৯ অগাস্ট। বিধানসভায় আসনের নিরিখে তৃণমূল প্রার্থী জহর সরকারের রাজ্যসভায় যাওয়া কার্যত নিশ্চিতই বলা যায়। রাজ্যসভায় প্রার্থী হওয়ার পর জি ২৪ ঘণ্টাকে জহর সরকার বলেছিলেন, 'মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয়স্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলার সুযোগ পেলাম। একতরফাভাবে চালিয়ে যাচ্ছে, এটা ঠিক নয়। অবসর নেওয়ার পর পাঁচ বছর ধরে এই সরকারের বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছি'।