প্রমাণ করুন, নইলে ইস্তফা দিন, সভায় বাধা অভিযোগে অমিত শাহকে পালটা চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের

এদিন সভার শুরুতেই অমিত শাহ অভিযোগ করেন, সভা করতে বাধা দিয়েছে তৃণমূল। এমনকী তাঁর বক্তব্য যাতে সাধারণ মানুষের কাছে না-পৌঁছয় সেজন্য পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বাংলা খবরের চ্যানেলগুলি সম্প্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিন পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে,

Updated By: Aug 11, 2018, 04:02 PM IST
প্রমাণ করুন, নইলে ইস্তফা দিন, সভায় বাধা অভিযোগে অমিত শাহকে পালটা চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের

নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও জমে উঠল রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূল বনাম বিজেপির লড়াই। অমিত শাহের চ্যালেঞ্জের পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল তৃণমূল। পাশাপাশি এদিন মেয়ো রোডে বিজেপির সভাকে 'ফ্লপ শো' বলে কটাক্ষ করল রাজ্যের শাসক দল। 

শনিবার মেয়ো রোডের সভায় রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উপড়ে ফেলার ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে অমিত শাহ এদিন বলেন, ক্ষমতায় এলে রাজ্যে অবাধে দুর্গা ও সরস্বতী পুজোর ব্যবস্থা করবে বিজেপি। পাশাপাশি বাধা এলে তুমুল সংঘর্ষ হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। এদিনের সভা থেকে বাংলা দখলের ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ। তাঁর বক্তব্য শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল তৃণমূল। 

এদিন সভার শুরুতেই অমিত শাহ অভিযোগ করেন, সভা করতে বাধা দিয়েছে তৃণমূল। এমনকী তাঁর বক্তব্য যাতে সাধারণ মানুষের কাছে না-পৌঁছয় সেজন্য পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বাংলা খবরের চ্যানেলগুলি সম্প্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিন পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণ করুন। নইলে ইস্তফা দিন। 

হিন্দু শরণার্থীরা এদেশেই থাকবেন, মমতা সমর্থন করবেন তো? পাল্টা চ্যালেঞ্জ অমিতের

শনিবার দুপুরে @AITCofficial টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়, 'বাংলায় বিজেপির আরেকটা ফ্লপ শো সবেমাত্র  শেষ হল। তাই বিজেপি এখন ছুতো খুঁজছে। ওদের দাবি সভা করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। ব্ল্যাক আউট ও ব্ল্যাকমেলিং বিজেপি করে থাকে। সংবাদমাধ্যমকে অপমান করবেন না। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করছি। প্রমাণ করুন, নইলে ইস্তফা দিন।' 

 

অমিত শাহের সভা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাপ চড়ছিল। মেয়ো রোডে সভাস্থল ব্যানার হোর্ডিংয়ে ঢেকে দিয়েছিল তৃণমূল। সেই থেকে সূত্রপাত। বিবাদ চরমে ওঠে শনিবার তৃণমূলের কালা দিবস পালনের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে। শুক্রবার হঠাত্ই দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও কলকাতাকে কর্মসূচির বাইরে রাখা হয়।

বিজেপির অভিযোগ, তাদের দলীয় কর্মী - সমর্থকদের অমিত শাহের সভায় যোগদানে বাধা দিতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করেছে তৃণমূল। এদিন সভা থেকে বিভিন্ন জায়গায় সভামুখী বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার কথা দাবি করেন দলের নেতারা।  

.