Trinamool Congress: চলবে 'দিদির সুরক্ষা কবচ', পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে নতুন সিদ্ধান্ত তৃণমূলের
TMC Campaign: জানা গিয়েছে রাস্তা, স্বাস্থ্যসাথী ও লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ জানিয়েছেন মানুষ। যে সব জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে, পুনরায় সেখানে গিয়েছেন অন্য প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি একাধিক পঞ্চায়েত সদস্যের কাজ নিয়ে উঠে এসেছে অভিযোগ। প্রান্তিক এলাকার মানুষের প্রশ্ন রেশন পাওয়া যাবে কিনা। মহিলাদের প্রশ্ন সবচেয়ে বেশি করে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়েই।
প্রবীর চক্রবর্তী: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেটা মাথায় রেখেই ২৫ ফেব্রুয়ারির পরও দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি চালিয়ে যাবে শাসক দল তৃণমূল। ইতিমধ্যেই ১২০০ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করেছে তৃণমূল। আপাতত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতেই আস্থা রাখছে তৃণমূল ।
দিদির দূতদের কাছে সবথেকে বেশি চাহিদা রাস্তার। এর পরে রেশন ও লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে চাহিদার কথা উঠে এসেছে। দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচীতে প্রায় তিন হাজার গ্রাম পর্যবেক্ষণ করল শাসক দল।
জানা গিয়েছে রাস্তা, স্বাস্থ্যসাথী ও লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ জানিয়েছেন মানুষ। যে সব জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে, পুনরায় সেখানে গিয়েছেন অন্য প্রতিনিধিরা।
পাশাপাশি একাধিক পঞ্চায়েত সদস্যের কাজ নিয়ে উঠে এসেছে অভিযোগ। প্রান্তিক এলাকার মানুষের প্রশ্ন রেশন পাওয়া যাবে কিনা। মহিলাদের প্রশ্ন সবচেয়ে বেশি করে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়েই।
জানানো হয়েছে আগামী মাসের তৃতীয় সপ্তাহ অবধি চলবে এই কর্মসূচী। ২৫ ফ্রেব্রুয়ারী অবধি এক দিন অঞ্চলে কর্মসূচীর তালিকা প্রস্তুত আছে। গ্রামের রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু করছে দল। এবার পুর এলাকায় এই কর্মসূচী শুরু করা হবে।
পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, রাণাঘাট, হুগলি গ্রামীণ, পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গা থেকে বেশি অভিযোগ এসেছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া এবং তাঁদের সমস্যার সমাধান করা এবং অভিযোগ শোনা। আগামী সোমবার মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে একটি বৈঠক করবেন সব অভিযোগকে সামনে রেখে।
আরও পড়ুন: Manik Bhattacharya: ছেলেকে জেলে দেখে কান্নায় ভাঙলেন মানিক, মুহ্যমান স্ত্রীর গ্রেফতারের খবরে
এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে এই কর্মসূচীর মধ্য দিয়েই মানুষের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ তৈরি করা এবং মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার মধ্য দিয়েই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাফল্য পাওয়া যাবে।
এই কর্মসূচী ঘোষণার দিনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন পঞ্চায়েত তাঁদের লক্ষ্য নয়। তাঁদের লক্ষ্য মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের সমস্যা শুনে সমাধান করা। ফলে পুরসভা অঞ্চলেও শুরু হবে এই কর্মসূচি।