হাসপাতালের এটিএমের ঘরে হল তৃণমূলের কার্যালয়

দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের সুবিধার জন্য হাসপাতালে এটিএম কাউন্টার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এটিএমের জন্য হাসপাতালে মার্বেল বসানো ঝাঁ-চকচকে একটি ঘরও তৈরি করে দেয় পূর্ত দফতর। কিন্তু ঘর তৈরি হতেই বিপত্তি। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়রের থেকে চাবি কেড়ে, ঘর দখল করে নিজেদের কর্মী ইউনিয়নের কার্যালয় তৈরি করল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিনব এই ঘটনা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের পাশেই তৈরি হয়েছে এই ঘরটি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা ছিল ঘরটিতে বসবে এটিএম। পরিকল্পনায় সিলমোহর দেয় হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতিও।

Updated By: Jun 16, 2013, 11:09 PM IST

দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের সুবিধার জন্য হাসপাতালে এটিএম কাউন্টার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এটিএমের জন্য হাসপাতালে মার্বেল বসানো ঝাঁ-চকচকে একটি ঘরও তৈরি করে দেয় পূর্ত দফতর। কিন্তু ঘর তৈরি হতেই বিপত্তি। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়রের থেকে চাবি কেড়ে, ঘর দখল করে নিজেদের কর্মী ইউনিয়নের কার্যালয় তৈরি করল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিনব এই ঘটনা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের পাশেই তৈরি হয়েছে এই ঘরটি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা ছিল ঘরটিতে  বসবে এটিএম। পরিকল্পনায় সিলমোহর দেয় হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতিও।
পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়রদের চিঠি পাঠিয়ে হাসপাতাল সুপার জানিয়ে দেন নির্মাণ কাজ শেষ হলেই তাঁর হাতে জমা দিতে হবে ঘরের চাবি। ঘর তৈরির কাজ শেষ হতেই বিপত্তি।  ইঞ্জিনিয়ারদের থেকে চাবি কেড়ে নেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ইউনিয়ন, ইউনাইটেড স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের নেতারা। সরকারি হাসপাতালের ঘর দখল করে এটিএম কাউন্টারের পরিবর্তে তৈরি হয়েছে শাসক দলের কর্মী ইউনিয়নের কার্যালয়। ঘটা করে, ঘরে মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টার  ঝুলিয়ে ফিতে কেটে সারা হয়েছে উদ্বোধনও। গোটাটাই হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে। শাসক দলের কর্মচারী ইউনিয়নের এই গা জোয়ারি আচরনে রীতিমতো অস্বস্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
 
ইউনাইটেড স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের পাশাপাশি দখল হওয়া ঘরে চলছে শাসক দলের আরও একটি ইউনিয়ন অফিস। একই ছাদের নিচে তৈরি হয়েছে রাজ্য নন-গেজেটেড হেলথ এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের অফিসও। হাসপাতালের তরফে স্বাস্থ্য দফতরে জমা পড়ছে অভিযোগ। কিন্তু শাসক দলের কর্মী ইউনিয়নের অফিস বন্ধ করে দিয়ে, ঘর দখল মুক্ত করার উদ্যোগ নেবে কোন পক্ষ। তা নিয়েই শুরু হয়েছে চাপান-উতর।
 

.