নেত্রীর নির্দেশে গ্রামে গ্রামে 'অভিযান' TMC-র, পুলিস নিয়ে যাবেন: দিলীপ
দিদিকে বলো, বাংলার গর্ব মমতা কিংবা বাংলার যুবশক্তির পর এবার অভিযান।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাম দেওয়া হয়েছে অভিযান। একুশের আগে নতুন জনসংযোগ কর্মসূচি তৃণমূলের। একই সঙ্গে বিধায়ক ও প্রশাসনকে মাঠে নামার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। শুনতে হবে মানুষের অভাব-
অভিযোগ। দ্রুত বের করতে হবে সমাধান। তৃণমূলের কর্মসূচি নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, পাবলিক ক্ষেপে আছে, পুলিস নিয়ে যাবেন।
দিদিকে বলো, বাংলার গর্ব মমতা কিংবা বাংলার যুবশক্তির পর এবার অভিযান। বিধানসভা ভোট আসছে। তাই দলীয় বিধায়কদের সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। বলা হয়েছে, বিধায়কদের মানুষের দরজায় গিয়ে অভাব অভিযোগের কথা শুনতে হবে। সঙ্গে থাকবেন বিডিও, এসডিও, পঞ্চায়েত প্রধানেরা।
বিধায়কদের সঙ্গে গ্রামে-গ্রামে যাওয়ার জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছেও পৌছে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ। প্রতি শনিবার সকালে চলবে জনসংযোগ। গ্রামীণ বিধানসভাগুলিতে দেওয়া হয়েছে বেশি
নজর। প্রতি মাসে তৃণমূল বিধায়কদের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট দিতে হবে।
এর আগে দলের নানা স্তরের জনপ্রতিনিধিদের মাঠে নামিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু, এবার নেতাদের সঙ্গেই প্রশাসনকেও জুড়ে দিলেন তিনি, যা আগে হয়নি। লক্ষ্য হল,বিধায়ককে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রশাসনের যোগাযোগ তৈরি। সমস্যা শোনার পর যাতে সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করা যায় সেজন্য মানুষের দরজায় একইসঙ্গে বিধায়ক ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের দাঁড় করিয়ে দেওয়া।
তৃণমূলের এমন কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলেন,''তৃণমূলের নেতারা যান না। মানুষ আমফানের ক্ষতিপূরণ, কাটমানির হিসেব নেবেন হিসেব নেবেন। বাংলার গর্বে বলেছিলেন, গ্রামে গ্রামে যাবেন। কিন্তু আমাদের কর্মীরা গিয়েছিলেন। চৌধুরী মোহন জটুয়া তো বিজেপি কর্মীর বাড়িতেই খেয়েছিলেন। দলের লোকেরাই বিধায়ককে দেখেননি। গেলে সঙ্গে করে পুলিস নিয়ে যাবেন। বিজেপিকে আবার দোষ দেবেন না। খুব ক্ষেপে আছে পাবলিক।''
জনসংযোগে নীতীশ কুমার গ্রামে রাত্রিবাস করেছেন। সরকারের টাকা আমজনতার কাছে পৌছনোর আগে অধিকাংশই চুরি হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছিলেন রাজীব গান্ধী। রাইটার্স থেকে নয়, সরকার চলবে গ্রাম থেকে। বলেছিলেন, জ্যোতি বসু। একুশের আগে গ্রামের ক্ষত সারাইয়ে নজর মমতারও।
আরও পড়ুন- তৃণমূল মমতার নয়, শুভেন্দুর নয়, তিনিও টাটা করছেন, দলের রাশ ভাইপোর হাতে: কৈলাস