আজ জন্মদিন ভারত বিশারদ বিখ্যাত জার্মান পণ্ডিত ম্যাক্স মুলারের
ঠিকানা ৫৭ এ পার্ক স্টিট। শহরের ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম পীঠস্থান গোথে ইনস্টিটিউট ম্যাক্স মুলার ভবন। বহু মানুষই এই ম্যাক্স মুলার ভবন থেকে জার্মান ভাষাশিক্ষার পাঠ নিয়েছেন। যাঁর নামে এই ভবন, আজ সেই ম্যাক্স মুলারের জন্মদিন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ঠিকানা ৫৭ এ পার্ক স্টিট। শহরের ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম পীঠস্থান গোথে ইনস্টিটিউট ম্যাক্স মুলার ভবন। বহু মানুষই এই ম্যাক্স মুলার ভবন থেকে জার্মান ভাষাশিক্ষার পাঠ নিয়েছেন। যাঁর নামে এই ভবন, আজ সেই ম্যাক্স মুলারের জন্মদিন।
বিখ্যাত ভারত বিশারদ হিসেবে প্রসিদ্ধ ম্যাক্স মুলার। একাধারে তিনি দার্শনিক, ধর্মতত্ত্ববিদ, সমাজতত্ত্ববিদ, অধ্যাপক ও সংস্কৃত ভাষায় জার্মান পণ্ডিতও বটে। ১৮২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর তত্কালীন প্রুশিয়া সাম্রাজ্যের আনহাল্ট রাজ্যের রাজধানী ডেসাউ শহরে জন্মগ্রহণ করেন ফ্রিডরিখ ম্যাক্স মুলার।
শৈশবকাল থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন মুলার। শুধু পড়াশোনাই নয়, সঙ্গীতেও তিনি বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। স্কুলজীবনের পাঠ শেষে বিভিন্ন প্রাচীন ইউরোপীয় ভাষায় পাণ্ডিত্য অর্জন করেন তিনি। একইসঙ্গে সংস্কৃত ভাষাতেও প্রভূত দক্ষতা অর্জন করেন তিনি।
আরও পড়ুন, অযোধ্যার বিতর্কিত জমির ইতিবৃত্ত, একনজরে ইতিহাস
সংস্কৃত শাস্ত্রের জার্মান অনুবাদের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন বিশেষ পারদর্শী। সংস্কৃত ভাষায় বিষ্ণু শর্মার লেখা ভারতীয় উপকথা ও হিতোপদেশের জার্মান অনুবাদ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে উপনিষদেরও জার্মান অনুবাদ করেছিলেন তিনি। তবে ম্যাক্স মুলার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হল ঋগ্বেদ চর্চা।
জার্মান ভাষায় ঋগ্বেদের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেছিলেন তিনি। ঋগ্বেদের মূল অর্থ অনুধাবনে সফল হয়েছিলেন ম্যাক্স মুলার। হিন্দুদের বহু দেবদেবীর আরাধনা সম্পর্কে ম্যাক্স মুলারের একটি উল্লেখযোগ্য উক্তি রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, “বেদের দেবতাতত্ত্বকে বহু ঈশ্বরবাদ হিসেবে ব্যাখ্যা না করে, তাকে পরম সত্ত্বায় বহু দেবতার মিলন বলাই ভালো।" বলে রাখা যাক, স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছিল ম্যাক্স মুলারের।
আরও পড়ুন, 'স্বচ্ছ ভারত'-এর প্রচারই সার! মোদীর রাজ্যেই দূষিত নদী