তৃতীয়ার কলকাতায় জ্যাম আছে, ঘাম আছে, তবে আলোয় ভাসা উত্সবের আমেজটাই বেশি করে আছে
লিখছিলেন রোজকার খবর। হঠাত্ বললেন, আজ তো তৃতীয়া। আমরা খবরের লোকেরা বুঝতে পারছি না, কিন্তু বাইরে তো কত মজা হচ্ছে, আলো জ্বলছে। ওয়েবে আজ তৃতীয়ার কপিটা আমিই লিখব---লিখলেন
শুভ্রাংশ চট্টোপাধ্যায় (ডেস্ক রিপোর্টার)
দিন কয়েক ধরে আকাশে ঘোর লাগা নীল। আর সেই নীলিমায় যুবতী হাঁসের মত সাদা মেঘের ওড়াওড়ি। যাত্রার কনসার্ট বাজার মতই বিশ্বকর্মা পুজো থেকেই শুরু হয়ে যায় উত্সবের দিন গুনতি। নিম্নচাপের হাত ধরা বর্ষার দাপাদাপিতে এবার ভয় করছিল। পুজোর সময় কী হবে! --আকাশের নীলে, বরাভয় দেখছে উত্সবের মেজাজ। শিউলি ভেজা ভোরে চণ্ডীপাঠের- মহালয়া থেকেই বাঙালি মনে বাজতে শুরু করেছে কাঁসরঘণ্টা।পুজো আসছে-আসছে করতে করতে চলেই এল। কলাবউ স্নানের সাত্তিক রীতি পেরিয়ে পুজোর উত্সব শুরু এখন দ্বিতীয়া তৃতীয় থেকেই। শুরুও হয়ে গেছে। অন্তত শহর কলকাতাতে বটেই। তৃতীয়াতেই ভিড় জমছে মণ্ডপে। পিছিয়ে নেই জেলাও।
আরও পড়ুন- আজকের সব বড় খবর
নতুন পোশাকের গন্ধ মাখা আমুদে কলকাতা সেলফি তুলছে, প্যান্ডেলের সেলফি হোয়াটস্ অ্যাপে ছড়াচ্ছে লাগোস থেকে লণ্ডনে। পিছিয়ে নেই জেলা শহরও। বোধনের আগেই উদ্বোধন হয়ে গেছে বহু জায়গাতেই। তবু পুজো ওই চার দিনই। ওই চারদিনের জন্যই ছুটির আকুতি। রোস্টার ম্যানেজ করে বাড়ি ফেরার চেনা চালাকি। ধান খেতের বুক চিরে লাল মোরামের রাস্তা বেয়ে যে পথ গেছে বাড়ি। রায়বাড়ির দালানে যে পুজো হয়। মল্লদের কামানের শব্দ শুনে যেখানে আঁখ-চালকুমড়ো বলি হয়। সেখানে যে পুজো হয়। সেই সেখানে পুজোয় যেতে মন চায়। তৃতীয়ায় সুরুচি, দেশপ্রিয় পার্ক হোক। চতুর্থী,পঞ্চমী হোক অন্য কোথাও। কিন্তু পুজোর চার দিন কাটুক সেই সেখানে যেখানে কেটেছে ছোটোবেলাটা।