ত্রিফলা আলো রিপোর্টে উঠে এল একাধিক অনিয়ম
ত্রিফলা আলোর বরাতে অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে অডিট করানোর জন্য, একটি বেসরকারি সংস্থাকে নিয়োগ করেছে কলকাতা পুরসভা। শনিবার অন্তর্বর্তীকালীন অডিটের একটি খসড়া তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে ওই সংস্থা। পুর কমিশনার খলিল আহমেদের কাছে ওই রিপোর্ট জমা পড়েছে। রিপোর্টে ত্রিফলা আলোর বরাতে অনিয়মের একাধিক জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে।
ত্রিফলা আলোর বরাতে অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে অডিট করানোর জন্য, একটি বেসরকারি সংস্থাকে নিয়োগ করেছে কলকাতা পুরসভা। শনিবার অন্তর্বর্তীকালীন অডিটের একটি খসড়া তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে ওই সংস্থা। পুর কমিশনার খলিল আহমেদের কাছে ওই রিপোর্ট জমা পড়েছে। রিপোর্টে ত্রিফলা আলোর বরাতে অনিয়মের একাধিক জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে।
আলো দফতরের দাবি ছিল, তাড়াহুড়োর মধ্যে কাজ শেষ করার বাধ্যবাধকতা থাকায় পুরসভার দেওয়ালে স্পট কোটেশনের নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খসড়া তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্পট কোটেশনের নোটিস দেওয়ার আগেই অনেক রাস্তায় ত্রিফলা আলো বসানোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। কাদেরকে আলো বসানোর বরাত দেওয়া হবে, তা অনেক আগেই ঠিক হয়েছিল
নিয়ম বিরুদ্ধ ভাবে একই সংস্থাকে অনেক রাস্তায় আলো বসানোর বরাত দেওয়া হয়েছিল। খসড়া তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ত্রিফলা আলোয় একই ধরনের `কেবল` ব্যবহার করা হলেও, বিভিন্ন জায়গায় তার বিভিন্ন রকম দাম দেখানো হয়েছে। টেন্ডারে কোনও সংস্থা অংশগ্রহণ করলে, পুরসভাকে তার জন্য আর্নেস্ট মানি দিতে হয়। খসড়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, টেন্ডার ডাকার আগেই সেই আর্নেস্ট মানি জমা পড়ে গিয়েছিল।
কেন এধরনের অনিয়ম হল, ডিজি আলো মনোব্রত চৌধুরীকে এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়েছে। পাঁচদিনের মধ্যে এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
কিন্তু এখানেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। ত্রিফলা দুর্নীতি সামনে আসার পরই আলোর তত্কালীন ডিজি গৌতম পট্টনায়েককে শোকজ করে তড়িঘড়ি অন্য বিভাগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন ডিজি আলো কয়েকদিন আগেই দায়িত্ব নিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, তাঁর পক্ষে কী সব খতিয়ে দেখে ৫দিনের মধ্যে এই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব?
তিরিশে নভেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন অডিটের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ার কথা ছিল। তা পিছিয়ে ষোলই ডিসেম্বর করা হয়েছে। কিন্তু এতদিনে অডিট সংস্থা এই সব প্রশ্ন তোলায়, অন্য একটি প্রশ্ন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাহলে কী তদন্তের জন্য অডিট সংস্থাকে সব ফাইল পুরসভা দেয়নি? কারণ এর আগে ত্রিফলা আলো তদন্তের জন্য ক্যাগকে কোনও ফাইল দিতে চায়নি পুরসভা।