দুই সাংসদ জেলে, ব্যাকফুটে থাকা তৃণমূল আজ 'ওয়ে আউটের' খোঁজে বৈঠকে
নেতাজি ইন্ডোরে হাওড়া-হুগলি এবং কলকাতা নিয়ে আজ সাংগঠনিক বৈঠক পূর্বনির্ধারিতই ছিল।
ওয়েব ডেস্ক: সারদাকাণ্ডে দলের দুই সাংসদ জেলে। দুই মন্ত্রী সহ আরও অনেকে জেরার মুখে। এই পরিস্থিতিতে একেবারে ব্যাকফুটে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও নেতাজি ইন্ডোরে হাওড়া-হুগলি এবং কলকাতা নিয়ে আজ সাংগঠনিক বৈঠক পূর্বনির্ধারিতই ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে সারদা ইস্যু। কোন পথে এগোবে দল? ভাবমূর্তি রক্ষা করতে কী হবে স্ট্র্যাটেজি? দলের রাজনৈতিক লাইন কী হবে, তাই আজ বলতে চলেছেন দলনেত্রী। সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশন আগে দলের সাংসদদের নিয়েও আজ বৈঠক হবে।
সারদাকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যসভা সাংসদ সৃঞ্জয় বসু। সিবিআই দফতরে দীর্ঘ জেরার পর গ্রেফতার করা হল তাঁকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতারের খবর সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হবে। সারদাকণ্ডে ষড়যন্ত্রের অভিযোগেই গ্রেফতার করা হল সাংসদকে।
তবে আজ সকালে সিজিও ভবনে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জানান, তিনি একটুও বিচলিত নন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন জেরায় অসঙ্গতি পাওয়ায় জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হল।
এদিন তলব করা হেয়ছে, বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখার্জিকে। সিবিআইকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখার্জি। আজ সিবিআই দফতরে যান তিনি। মন্ত্রী জানান, বাঁকুড়ার সিমেন্ট কারখানার হস্তান্তর নিয়ে তাঁর কাছ থেকে কিছু নথি চেয়ে পাঠায় সিবিআই। সেগুলি সবই তিনি আজ দিয়ে এসেছেন। নথি দেখে গোয়েন্দারা তাঁকে কয়েকটি প্রশ্ন করেছেন বলেও জানিয়েছেন শ্যামাপদ মুখার্জি। নিজের মালিকানাধীন বাঁকুড়ার সিমেন্ট কারখানা মন্ত্রী বিক্রি করেন সুদীপ্ত সেনকে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হস্তান্তরে কোনও মধ্যস্থতাকারী ছিল না। এর আগে ওই কারখানার হস্তান্তর নিয়ে বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখার্জিকে ডেকে পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বস্ত্রমন্ত্রী ছাড়াও সিবিআই দফতরে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৃঞ্জয় বসু এবং কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রও।