দুই স্ত্রী, জিয়ারুল ও মনোতোষ কি একই ব্যক্তি? জোরাল রহস্য
বসিরহাটেই মনোতোষের তিন-তিনটি ডেরা ও দুই স্ত্রীর হদিশ মিলল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আল কায়দার অস্ত্র ব্যবসায়ী মনোতোষ ওরফে মনাকে ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। বসিরহাটেই মনোতোষের তিন-তিনটি ডেরা ও দুই স্ত্রীর হদিশ পেল পুলিস। পুলিসের দাবি, অস্ত্র পাচার করতে গিয়ে আগেও একবার ধরা পড়ে মনোতোষ ওরফে জিয়ারুল গাজি। মনোতোষ ও রতন দে সরকার নাম নিয়ে বাংলাদেশি নাগরিক জিয়ারুল জীবনযাপন করত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।
বসিরহাটের ভবানীপাড়ায় গত দু'বছর ধরে দেবাশিস চক্রবর্তীর বাড়িতে ভাড়া থাকত মনোতোষ। ভাড়াটে সম্পর্কে পুরোপুরি অন্ধকারে ছিলেন দেবাশিসবাবু।তেমনই অন্ধকারে স্ত্রীও। বসিরহাটেরই গৌরী সরকারকে দেড়বছর আগে বিয়ে করে মনোতোষ। কিন্তু, স্বামীর সম্পর্কে অন্ধকারে গৌরী সরকারও।
ভবানীপাড়া থেকে ২ কিলোমিটার দূরে রঘুনাথপুরে মনোতোষ আবার জিয়ারুল গাজি। গত ১০ বছর ধরে এনামেই স্বামীকে চেনেন আফরোজা। গৌরী-আফরোজা দুজনে একে অপরকে চিনতেন না। মঙ্গলবারই মনোতোষকে শেষবার দেখেন। পরণে সেই লাল পোশাক। এসটিএফ তাকে পাকড়াও করেছে ওই পোশাকেই। দুই স্ত্রীর কেউই মনোতোষের অতীত সম্পর্কে বিন্দুবিসর্গ জানতেন না। এদিকে, মথুরাপুর কলোনিতে রামপ্রসাদ অধিকারীর বাড়িতেও রতন দে সরকার পরিচয় দিয়ে ভাড়া থাকত জিয়ারুল। দুই স্ত্রীর কেউই জানত না মনোতোষের মূল বাড়ি কোথায়? দুই বাড়ি থেকেই মাঝেমধ্যেই উধাও হয়ে যেত মনোতোষ ওরফে জিয়ারুল। সে সময়ে মনোতোষ ফোন না করলে তাকে ফোনে যোগাযোগ করা যেত না। আগেও একবার অস্ত্রপাচারে ধরা পড়েছিল মনোতোষ।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশের ছকে ভারতেও ব্লগার খুনের পরিকল্পনা বানচাল, জঙ্গিদের কবুলনামায় চাঞ্চল্য
পুলিসের দাবি, ৫ বছর আগে উত্তর ২৪ পরগনায় বেআইনি অস্ত্রের কারবার করতে গিয়ে ধরা পড়ে জিয়ারুল। সে সময় মনোতোষ বা জিয়ারুলের আসল পরিচয় জানা যায়নি। বাংলাদেশি নাগরিক জিয়ারুল দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র পাচারের সঙ্গে যুক্ত। একাধিক জঙ্গি সংগঠনকে বিভিন্ন সময়ে অস্ত্র সরবরাহ করেছে সে।জিয়ারুলের বাংলাদেশি যোগের সূত্রেই আনসারুল বাংলা তাকে অস্ত্র সরবরাহের বরাত দেয়।
মনোতোষ আদতে কে? কোন কোন সংগঠনকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে সে, তা খুঁজে বের করাই তদন্তকারীদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।