Coal Smuggling, CBI: কয়লা পাচারকাণ্ডে এবার সিবিআই-র জালে CISF-র ইন্সপেক্টর.....
অনুপ মাজি ওরফে লালার কাছ থেকে টাকা নিয়ে কয়লা পাচারে সহযোগিতা?
বিক্রম দাস: গোরুপাচারে নাম জড়িয়েছে বিএসএফ-র। কয়লা পাচারকাণ্ডে এবার সিবিআই-র জালে CISF-র এক ইন্সপেক্টর! সঙ্গে প্রাক্তন ECL কর্তাও! ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের গ্রেফতার করা হল দু'জনকেই।
কয়লা পাচারকাণ্ডে তদন্তে ফের তৎপর সিবিআই। কীভাবে? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূ্ত্রে খবর, এদিন নিজাম প্য়ালেসে ডেকে পাঠানো হয় র ECI-র প্রাক্তন ডিরেক্টর (অপারেশন) সুনীল কুমার ঝাঁ ও CISF-র ইন্সপেক্টর আনন্দ কুমার সিং-কে। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।
অভিযোগ, কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা নিতেন ধৃতেরা। বিনিময়ে নানাধরণের সুবিধা পাইয়ে দিতেন! এই চক্রে কেন্দ্রীয় সংস্থার আরও কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'গোরুপাচার আর কয়লা পাচার, যে যে কেন্দ্রীয় সংস্থার মাধ্যমে এগুলো সংগঠিত হয়েছে, ,সেই কেন্দ্রীয় সংস্থার মন্ত্রীদের ভূমিকা কী, সেটা জানা দরকার। আমাদের এখানে শিক্ষা দফতরের দুর্নীতি নিয়ে কথা হচ্ছে, শিক্ষামন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন।তাহলে এইসব দফতরের দুর্নীতি যখন সামনে আসছে, তখন মন্ত্রীদের কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না'?
'তাহলে কি পশ্চিমঙ্গে কোনও দুর্নীতি হলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করতে হবে'? পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'ইডি, সিবিআই এখন খাঁচাবন্দি তোতাপাখি নয়। আমরা আগেও বলেছি, এতবড় দুর্নীতি কোনও একটা সংস্থার পক্ষে সংগঠিত করা সম্ভব নয়। কিছু জায়গায় ভারত সরকারের কিছু অফিসারের বিচ্য়ুতি আছে। দল অস্বীকার করেনি, সরকারও অস্বীকার করেনি'।
এর আগে, গোরুপাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন বিএসএফ-র এক কমান্ডার। ইডি-র চার্জশিটে দাবি, এনামূল হক ও তার সহযোগীরা গোরু পাচারে বিএসএফের সাহায্য নিয়েছিল!